গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

Slider জাতীয় শিক্ষা

গোপালগঞ্জ: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর শিক্ষার্থীদের আজকের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এমন অবস্থায় আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। এমনিতে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্ধারিত সময় থাকলেও ছুটি আগামীকাল থেকে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হলে আজ সকাল থেকে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পথে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলা হয়।

সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ফেসবুকে লেখার জেরে ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। উপাচার্য বহিষ্কারাদেশ তুলে নেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোর আন্দোলন গড়ে তোলেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪টি সিদ্ধান্ত নিয়ে তা রেজিস্ট্রার মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি আদেশে প্রকাশ করে। ওই আদেশের ৪ নম্বরে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাক্‌স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ ছাড়া বহিষ্কার করা হবে না। আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে অপমান করা হবে না। যে ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে এত কিছু, সে বিষয়ে আদেশের ১২ নম্বরে বলা হয়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও কমেন্টকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *