ঢাকা: জিম্বাবুয়ের দেওয়া টার্গেট তাড়ায় নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৯ রানে স্বাগতিকরা হারিয়েছে ৩ উইকেট! ইতিমধ্যেই ফিরেছেন শীর্ষ চার ব্যাটসম্যান। দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাসকে (১৯) বোল্ড করে ধ্বংসের শুরু করেন চাতারা। পরের ওভার করতে এসে জার্ভিস তুলে নেন সৌম্য সরকার (৪) এবং মুশফিকুর রহিমকে। দলীয় ২৯ রানে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে (১) মাসাকাদজার তালুবন্দি করে বড় শিকার ধরেন চাতারা।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কর্তিত ১৮ ওভারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় ওভার তথা অভিষিক্ত তাইজুলের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ব্রেক থ্রু পায় বাংলাদেশ। তার বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন ৬ রান করা টেইলর।
এরপর বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের তালুবন্দি হন ক্রেইগ আরভিন (১১)। ভাঙ্গে ৪৪ রানের জুটি। ডানা মেলতে শুরু করেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে চমৎকার এক ডাইভিং ক্যাচে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে ৩৪ রানে থামান সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেক বোলিংয়ে এসেই কট অ্যান্ড বোল্ড করেন শন উইলিয়ামসকে (২)। সাকিব-মুস্তাফিজের যৌথ প্রচেষ্টায় টিমিচেন মারুমা (১) রান-আউট হলে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চারে ৩০ রান নেন জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রায়ান বার্ল। এরপর ফ্লাডলাইট নিভে গেলে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। ম্যাচশেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান। বার্ল ৩২ বলে ৫৭* আর মুতাম্বোডিজি ২৭* রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৮১* রান।