আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আগামী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি শোকের মাস আগস্টে স্থগিত ছিল। এ কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে শুরু হবে। দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক হবে। বৈঠকে দলের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নির্ধারিত সময়ে জাতীয় সম্মেলন করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে আগামী শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হবে। কয়েকটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়েও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক ডাকা হবে।
ভারতের আসামের নাগরিকত্ব সমস্যা ও তালিকা তৈরি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাজেই আগেভাগেই এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন কেন হবো? তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছে। একবার তারা তারিখ দিয়ে যায়নি বলে শেষ পর্যন্ত ফিরে যাবেন না, এমন ভাবার কিছু নেই।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বি এম মোজাম্মেল হক, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সুজিত রায় নন্দী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, ইকবাল হোসেন অপু, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।