ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সায়েন্স ল্যাবে হামলার ঘটনায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম টার্গেট ছিলেন না। এটি পুলিশের ওপর হামলা।
আজ রোববার সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। তিনি এও বলেন, এ ধরনের ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে একসময় যে মন্ত্রী-সাংসদ ও রাজনীতিবিদেরা টার্গেট হবে না তা বলা যায় না।
গতকাল শনিবার রাত সোয়া ৯টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিটে সায়েন্স ল্যাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় এএসআই শাহাবুদ্দিন এবং ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল (৪০) আহত হন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহাবুদ্দিনের দুই পায়ে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে। আর আমিনুল হাতে আঘাত পেয়েছেন।
হামলায় সময় তেজগাঁও থেকে ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। সায়েন্স ল্যাব মোড়ে মন্ত্রীর গাড়ি এবং তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের গাড়ি যানজটে আটকা পড়ে। যাত্রাপথ পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর নিরাপত্তা দলের সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহাবুদ্দিন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তিনি যখন কথা বলছিলেন, তখনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
রাজনীতিবিদদের টার্গেট করে এই হামলা কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী কাদের বলেন, পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে। তাঁরা নিশ্চিত করেছেন, এ হামলায় মন্ত্রী টার্গেট ছিলেন না। তবে তিনি এও বলেন, ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে একসময় যে মন্ত্রী-সাংসদ ও রাজনীতিবিদেরা টার্গেট হবে না, তা বলা যায় না।
আইএসের হামলার দায় স্বীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইএসের নামে অপপ্রচার চলছে কি না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।’
গতকাল ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকপুঞ্জি (এনআরসি) প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় ১৯ লাখের বেশি মানুষ নাগরিকত্ব থেকে বাদ পড়েছে।
আসামে ঘোষিত এই এনআরসি বাংলাদেশের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে কি না, এই প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আসাম প্রতিবেশী দেশের একটি রাজ্য। আমরা এনআরসির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যতটুকু জানি, এই তালিকায় হিন্দুও আছে, মুসলমানও আছে। হিন্দুরা এই তালিকায় আছে ৬০ ভাগ, মুসলমানেরা ৪০ ভাগ। তবে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এ কারণে যে, এটা নিয়ে আপিল করার সুযোগ আছে। এই মুহূর্তে কোনো সুইপিং কমেন্ট করা যাবে না।’