সকল জেলায় আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনে হাইকোর্টের নির্দেশ

Slider বাংলার আদালত


ঢাকা: দেশের সকল জেলা সদরে সরকারি হাসপাতালে ৩০ বেডের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ), করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) স্থাপনে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কত জনবল, টাকা প্রয়োজন সেবিষয়ে এই প্রকল্প তৈরি করে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে সংগঠনটির কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর উস সাদিক।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আদালতে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৪৭টি জেলা সদর হাসপাতালে ৩০ বেডের আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের কাজ চলছে। আর ১৭টি হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপনের মত জায়গা আছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় জনবল আছে কিনা তার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জায়গা এবং জনবলের সঙ্কট থাকাতে প্রয়োজনীয় জায়গা তৈরি ও জনবল পদায়নের উদ্যেগ গ্রহন করা হচ্ছে। প্রয়োজন এবং অগ্রাধিকার মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। যেসব জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ’র কার্যক্রম চালু আছে তার তালিকাও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ ও ৩০টি সিসিইউ বেড চালু আছে। নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকলেও সিসিইউ বেড আছে ২টি। কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই, ১৫টি সিসিইউ বেড আছে। পাবনা জেলা সদর হাসপতালে ৪টি আইসিইউ ও ৮টি সিসিইউ বেড আছে। ভোলা সদর হাসপাতালে সিসিইউ বেড আছে ৪টি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্চ, মানিকগঞ্জ, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, জামালপুর, রাঙামাটি, নেত্রকোনা, নওগাঁ, মাগুরা, চাঁদপুর এবং হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-সিসিইউ বেড স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এর আগে গত ২১ মে আদালত আইসিইউ ও সিসিইউ স্থাপনের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পর গত ২৯ জুলাই এই তালিকা দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যা আজ উপস্থাপন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *