এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারিয়ে আবাহনীর ইতিহাস

Slider খেলা


ঢাকা: এএফসি কাপের ইন্টারজোন প্লে-অফ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ঢাকা আবাহনী। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালের মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশের ক্লাবটি। আবাহনীর চার গোলের দুটিই করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা। একটি করে গোল করেন সোহেল রানা ও নাবীব নেওয়াজ জীবন। দু’ক্লাবের ফিরতি ম্যাচটি ২৮ আগষ্ট উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
চীনের ভিসা হাতে না পাওয়ায় অ্যাওয়ে ম্যাচে অনিশ্চিত সানডে সিজোবা। ভিসা না পাওয়ার একটা আফসোসতো আছে এই ফরোয়ার্ডের। সেই আফসোস মেটাতেই কিনা কাল জ্বলে উঠলেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। দু’টি গোল করে দলের জয়ে অবদান রাখলেন।

উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর সব থেকে বড় আশংকা ছিলো রক্ষণ। অনেক চেষ্টা করেও ভাগ্যের দোষে রক্ষণে একজনের বেশি বিদেশী ফুটবলার রাখতে পারেনি ঐতিহ্যবাহীরা। তাই এদিন রক্ষণের গুরু দায়িত্বটা ওয়ালী, রায়হান ও মামুন মিয়াদের উপরই বেশি ছিলো। ইনজুরির কারণে ম্যাচে খেলতে পারেননি মধ্যমাঠের অন্যতম ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। তারপরও ম্যাচের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়েছে আকাশী-নীলরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই সাড়াশি আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা। তারপরও গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। ওই সময়ে নাবীব নেওয়াজ জীবনের ব্যকহিলে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা (১-০)। কিন্তু পরের মিনিটেই একই রকমভাবে সতীর্থের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে মিডফিল্ডার জং হায়োক গোল করে সমতায় ফেরান এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে (১-১)। ৩৭ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের পাসে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে গতিপথ বদলে গেলে জীবন বল পেয়ে দারুণ শটে জড়িয়ে দেন জালে (২-১)।

ফের এগিয়ে যায় আবাহনী। ৫৪ মিনিটে রক্ষণের ভুলে ফের গোল হজম করে আকাশী নীল শিবির। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে আবাহনীর বক্সে ঢুকে জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন দলীয় অধিনায়ক রিম ছল মিন (২-২)। ম্যাচে আবারও সমতা। এর মাত্র দু’মিনিট পরই এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ যে গোলটি হজম করে সেটিও তাদের রক্ষণের ভুলে। টুটুল হোসেন বাদশার থ্রো থেকে বল ধরে এগিয়ে যান আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা। তার পেছনে ছুটতে থাকেন দু’ডিফেন্ডার।
গোলকিপার এগিয়ে এসে আবারো পিছিয়ে যান। সুযোগ বুঝে বলটা জালে ঠেলে দেন সানডে (৩-২)। মিনিট ছয়েক পর বাঁ প্রান্ত দিয়ে বেলফোর্টের পাসে গোল করে দলকে আরও এগিয়ে দেন সেই সানডে (৪-২)। ৭৭ মিনিটে জং হায়োকের ক্রসে হেডে পাক সং রক বল জালে জড়িয়ে দেন (৪-৩)। ব্যবধান কমলেও হার এড়াতে পারেনি এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *