” মন খারাপের উঠোন ” ———- রাবেয়া রুবি

Slider সামাজিক যোগাযোগ সঙ্গী

চলমান যান্ত্রিকতার যুগে দৈনন্দিন কাজগুলো আমরা করে থাকি ঠিক ই।জীবনের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি হিসাবে।যে যত সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে,সে ততই সফলভাবে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।তবে এর মাঝেও যে কখনো ওঠা নামা হয়না তা কিন্তু নয়।আর হয় বলেই আমাদের “মন ” ও একটু বিচলিত হয়।।

আমাদের কোন কারণে মন খারাপ হলে আমরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজি। কাছের মানুষ কিংবা অন্য কারো সাথে গল্প করে মন ভালো করার চেষ্টা করি। সেটায় আসলে মন ভালো হয় না। বরং মনটা অন্যদিকে ডাইভার্ট হয় মাত্র। সেটাও অবশ্য খারাপ না।

এমনিভাবে মন খারাপের সময়টাতে কোন একজন বা বহুজন মানুষ বারবার এমন আশ্রয় দিলে, তার বা তাদের উপর একটা নির্ভরশীলতা তৈরি হয়ে যায়। মন খারাপ হলেই ইচ্ছে হয় মানুষটার বা মানুষগুলোর কাছে ছুটে যেতে। তারা সবাই একটা ভরসার জায়গা হয়ে যায়। তখন ভাবতে ভালো লাগে যে আমার এলোমেলো কথাগুলো শেয়ার করার একটা বা অল্প কিছু মানুষ অন্তত আছে।

কিন্তু সেই মানুষটাই যখন চলে যায়___ বা অন্যরা বিরক্ত হয়, তখন নিজেকে ছন্নছাড়া আশ্রয়হীন যাযাবর মনে হয়। তীব্র ঝড়ে, কড়া রোদে কিংবা কনকনে শীতে দৌড়ে গিয়ে যে দরজায় কড়া নাড়তাম, সেই দরজা এখন চিরতরে বন্ধ। এই বিশাল পৃথিবীতে আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। ভাবলেই কেমন যেন একটা নিঃসীম শূন্যতা গ্রাস করে ফেলে নিজেকে।

একটা সময় মনে হতে পারে সবার হারানোর ভয়।অন্যসব কাছের মানুষগুলোর জন্য ভীষণ মায়া জন্মায়।

আমার মন খারাপের সময়টাতে যে বা যারা পাশে থাকে, যে বা যারা আমার সবরকম গল্প শোনে, আমার মন ভালো করার চেষ্টা করে, তাকে বা তাদেরকে আমি ভয় পাই। তার বা তাদের প্রতি জন্মানো মায়াকে আমি প্রচণ্ড রকমের ভয় পাই। ভয়টা অবশ্যই তাকে বা তাদের কে হারানোর।

যদিও ধীরে ধীরে মন খারাপটুকু সহনীয় হয়ে যায়। কিন্তু মন খারাপের গল্প বলার শেষ মানুষটাও চলে গেলে তা সয়ে নেয়া অনেক কঠিন কষ্টদায়ক।।
“তাই সবাই মন খারাপ যাতে না হয়,ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু করি জয়।”
সকলের মংগল কামনায়—– জয় হোক ভালোবাসায়।
ফিরে না আসুক মন খারাপের উঠোন।।
ভাল থাকার মিছিলের জয়গান।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *