কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক আজ

Slider টপ নিউজ সারাবিশ্ব

The Russian ambassador to the United Nations Vitaly Churkin abstains from a vote in the United Nations Security Council attempting to halt the escalating conflict in Yemen in New York April 14, 2015. The United Nations Security Council on Tuesday imposed an arms embargo targeting the Iran-allied Houthi rebels who rule most of the country and blacklisted the son of Yemen’s former president and a Houthi leader after veto-power Russia abstained. REUTERS/Lucas Jackson TPX IMAGES OF THE DAY

ডেস্ক: নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গুলির লড়াই। অবরুদ্ধ কাশ্মীর। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাল্টা প্রতিশোধ নেয়ার হুঙ্কার। নতুন করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের অঘোষিত প্রস্তুতি। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ৭০ বছরের এই বিরোধী নিয়ে ৫০ বছর পর আজ প্রথম নিরাপত্তা পরিষদ এ বৈঠক করবে। এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কাশ্মীর ইস্যুতে জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হবে কিনা। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোদি বলেছেন, এরই মধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দখলীকৃত জম্মু কাশ্মীর পরিস্থিতিতে। তার দেয়া বিবৃতি অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদ আলোচনা করবে বলে আমরা আশা করি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজুল্যুশন এবং জাতিসংঘ সনদের অধীনে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এ বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন মহাসচিব গুতেরাঁ। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের মানবাধিকার নিয়ে তিনি গত সপ্তাহে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, আজ নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে চীনের অনুরোধে। এখান থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিষদ জরুরি সভা আহ্বান করবে কিনা। যদি তা না হয় তাহলে পরিষদ একটি বিবৃতি দেবে। তাতে কাশ্মীর উপত্যকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানানো হবে এবং ভারত-পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হবে এমন কোনো পদক্ষেপ না নিতে, যা থেকে সশস্ত্র যুদ্ধের দিকে পরিস্থিতি মোড় নেয়। তবে কাশ্মীর ইস্যুটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উঠছে ৫০ বছরের মধ্যে এবার প্রথম, যদিও তা পরামর্শ বা আলাপ আলোচনামুলক। পাকিস্তানি দূত মালিহা লোদি বলেছেন, কাশ্মীরে এখন এক কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ মাারাত্মক বেদনায়, দুর্ভোগে এবং দুর্দশার শিকার। তাদের এসব বিষয় নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ইস্যু করা হয়েছে। তিনি কাশ্মীর জনগণের পরিণতির বিষয়ে বলেন, তাদের রাজ্যকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাদের স্বাধীনতাকে চুরি করা হয়েছে, যাতে ভারত সরকার তাদের পরিচয় কেড়ে নিতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ। তারা হলো বৃটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এর মধ্যে প্রকাশ্যে শুধু চীন সমর্থন দিয়েছে পাকিস্তানকে। বাকি চারটি সদস্য চায় ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে সৃষ্ট বিরোধ দ্বিপক্ষীয়ভাবে মিটিয়ে ফেলুক। এমন প্রস্তাবনার পক্ষে ভারতেরও খুব বেশি অবস্থান। তবে তারা কাশ্মীর ইস্যুতে কোনো আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা দাবি করে, কাশ্মীর হলো তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়।

পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ১০টি। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে তাদেরকে দু’বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এখন এমন ১০টি অস্থায়ী সদস্য হলো বেলজিয়া, আইভোরি কোস্ট, ডমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়াটোরিয়াল গিনি, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, পেরু, পোল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে অতীতে পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও কুয়েত। তবে বাকিদের চীনের এবারের এই প্রস্তাবনার পক্ষে আনাটা কঠিন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *