মেজর মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Slider বাংলার মুখোমুখি


ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর উপপরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দুটি দায়ে করেন। দুই মামলায় আসামির তালিকায় নাম রয়েছে মেজর মান্নানের। মামলা দুটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৩ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) এম এ মান্নানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ১০ ও ১১।

১০ নম্বর মামলায় মেজর (অব.) এম এ মান্নান ছাড়া আরো যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ডি আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম জিলানী দিদার, বিআইএফসি’র সাবেক এমডি মো. মাহমুদ মালিক ও ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস সৈয়দ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন, সাবেক অফিসার মো. সৈকত আজাদ, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার তানিজা মাজেদ, সাবেক অফিসার মাসুদ-উল-রেজা চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিজিওনাল ম্যানেজার আফ্র্রিদা আহসান। এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামির পরস্পর যোগসাজস করে বিআইএফসি থেকে ডি’ আফরোজ সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে দুটি ঋণ চুক্তির আওতায় বোর্ড সভায় অনুমোদনের অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করে ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

১১ নম্বর মামলায় এম এ মান্নান ছাড়াও অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- ক্লিক টু ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল বাশার, বিআইএফসি’র সাবেক এমডি মো. মাহমুদ মালিক ও ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস সৈয়দ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন ও সাবেক অফিসার মো. সৈকত আজাদ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজস করে বিআইএফসি থেকে ক্লিক টু ডিজাইন লিমিটেডের নামে দুটি ঋণ চুক্তির আওতায় বোর্ড সভায় অনুমোদনের অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন করে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *