আমার কিছুই বলার নেই

Slider তথ্যপ্রযুক্তি


ঢাকা:মুক্ত সাংবাদিকতার প্রধান শর্ত কি? এটা সবাই জানেন। তারপরও বলছি। এটা হচ্ছে মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা। গণতন্ত্র না থাকলে মুক্ত সাংবাদিকতা আশা করা যায় না। আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে? প্রশ্নটা নিজের কাছে নিজেই করি, কোনও জবাব পাইনা। কাকে দায়ী করব? নিজেইতো সেলফ সেন্সরশিপে কাবু। নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছি, মোসাহেবি আমার পরিচয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্থহীন।
ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখতে পাই জন মিল্টন ব্রিটিশরাজের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করেছিলেন? তার লড়াই বড় কিছু প্রাপ্তির জন্য নয়।

অন্ততঃ তিনটি বিষয় নিয়ে তিনি লড়াই করেছিলেন- ১. দাও আমায় স্বাধীনতা দাও, ২. মুক্তভাবে বিতর্ক করার স্বাধীনতা দাও, ৩. সবার ওপরে আমাকে মুক্তি দাও। সেই মুক্তি কিন্তু আজও দেশে দেশে অনুপস্থিত। কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে স্বাধীন গণমাধ্যম অকার্যকর এক পন্থা। গণমাধ্যম বিষয়ক পণ্ডিতরা বলে গেছেন, মনে রাখতে হবে কোনও বিষয়ে তামাম দুনিয়ার মানুষ যদি একপক্ষে থাকে আর মাত্র একজন যদি থাকে অন্যপক্ষে। তবে সব মানুষের যেমন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, সেই একজন মানুষের জন্যও সমান অধিকার থাকতে হবে। তাহলেই আমরা মুক্ত রাষ্ট্র, মুক্ত গণমাধ্যম পাব। সাম্পতিককালে অবশ্য এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো অমীমাংসিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজের মতে, পরিবর্তনের প্রথম শর্ত হচ্ছে শিরদাঁড়া শক্ত করে, মাথা উঁচু করে প্রশ্ন করা।

যথার্থই বলেছেন এই অধ্যাপক। কিন্তু কে প্রশ্ন করবে? আমার তো মাথা-ই নেই। অন্যের কাছে বন্ধক রেখেছি। যোগ্যতা যেখানে কেনাবেচা হয় সেখানে এ নিয়ে কথা বলে কি লাভ? আমি তো প্রশ্ন করতে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় ভুলে যাই। তবে হ্যাঁ, অন্যের কথা বলব না। আমার যে কিছুই বলার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *