বিয়ের ফটোতে থাকতেই হবে…

লাইফস্টাইল

image_111360_0দুবার নয়, পাঁচবার নয়, সর্বসাকুল্যে একবারই তো করবেন বিয়েটা৷আর তারপরে যখন পুরো ঘটনাটাই স্মৃতি হয়ে যাবে, তখন থেকে যাবে কিছু ব্যক্তিগত ফটো বা ফ্রেমে ধরা কিছু মুহূর্ত৷আর তাই বিয়ের ফটো তুলতে বেছে নিতে হবে অভিজ্ঞ একজন ফটোগ্রাফারকেই৷ ঠিক কোন কোন সময়ে ক্যামেরায় চালাতে হবে ক্লিক, তা তো দক্ষ পরামর্শ ছাড়া আপনি-ই বা জানবেন কী করে? আর সবচেয়ে ভালো হয় ফটোগ্রাফারের সঙ্গে বসে পুরোটার একটা প্রাথমিক আলোচনা সেরে রাখতে পুরলে৷

১. সাজুগুজু– আপনি যখন সাজগোজ করছেন, মানে শাড়িটা পরার পর মেকআপের ফাইনাল টাচ দিচ্ছেন বা গয়না পরতে গিয়ে একটু রসিকতা করছে আশপাশের কেউ, ঠিক সেই সেই মুহূর্তটার একটা ছবি কিন্তু ক্যামেরাবন্দী করে রাখতেই হবে৷মা-ফুফুরা শাড়ি বাছছেন, কোউ বা কানে দুল গলাচ্ছেন কিংবা বরের মাথায় পাগরি পরানোর মতো মুহূর্তগুলো মিস করলে চলবে না৷

২. গ্র্যান্ড এন্ট্রি– বর কনের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, আপনাদের দুপক্ষের মা-বাবারা বা গুরুত্বপূর্ণ অতিথিরা যখন বিয়েবাড়িতে ঢুকবেন , সেই সময়ের ফটো থাকাও জরুরি৷ কারণ এমন অনেক আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব রয়েছেন, যারা হয়তো শুধুমাত্র বিয়ে উপলক্ষেই আসছেন৷ ফলে ঠিক সময়ে ফটো তুলে নিতে পারলে স্মৃতিটুকু অন্তত থাকবে৷

৩. চোখাচোখি- প্রাথমিক পর্যায়র পালাটা উতরে গেলেই অনেক বর-কনেই জড়োসড়ো ভাবটা কাটিয়ে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে এবং সবার চোখ বাঁচিয়ে মুচকি মিলিয়ন ডলার স্মাইল দিতেই পারেন৷ আর অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফাররা তো এই মুহূর্তটার অপেক্ষাতেই থাকেন৷কিন্ত আপনি যতই না করুন এরকম দু-একটা ছবি ফটোগ্রাফার তুলবেই৷

৪. গোপন কথা– বিয়ের পর বর-কনে যখন বসে থাকেন, বা ঘনিষ্ঠ হয়ে কোনো কথা বলেন সেই দৃশ্য কখনওই ছাড়া যায় না, আর আশপাশ থেকে কনেপক্ষ বা বরপক্ষের কেউ এই দৃশ্যটা দেখছে, সেরকম কাউকে যদি ফ্রেমের মধ্যে আনা যায়, তাহলে পুরোটা জমে একেবারে ক্ষীর৷

৫. গসিপ– নিমন্ত্রিতদের গালগল্প, হাতে তিনটা মিষ্টি নিয়ে গোপনকথার ছবি কয়েকটা না থাকলে বিয়ের অ্যালবাম থেকে কী একটা যেন মিস হয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়৷

৬. ফ্যাবিউলাস উইথ ফ্লাওয়ার- বিয়েতে সকলেই উপহার পান৷ কিন্তু সমস্ত উপহারের ছবি রাখা তো সম্ভব নয়৷ তাই বেছে বেছে কয়েকটি সুন্দর ফুলের বোকে নিয়ে আপনারা দুজনে পোজ দিন৷ আগে থেকে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঠিক করে একটু মেপে নিন কীভাবে দাঁড়ালে বা কতটা হাসলে আপনাকে এই শটে সবচেয়ে সুন্দর লাগবে৷

৭. কিপিং ন্যাচারাল- কিছু ন্যাচারাল মুহূর্ত যেন থাকে আপনার বিয়ের অ্যালবামে৷ সে খাওয়া হোক, রিসেপশন হোক, বিদায় পর্ব হোক বা পোস্ট ম্যারেজ হইহুল্লোড়৷ শুধুমাত্র ফটো তোলার জন্যই পোজ দেওয়া নয়, স্বাভাবিক মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দি করার সময় এটা, আপনার আর পরিবারের সকলের৷

৮.প্রাইজলেস–  দুই বাড়ির মা-বাবাদের নিয়ে একটা গ্রুপ ফটো মাস্ট৷পরে দেখবেন সমস্ত অ্যালবামে এটাই সবচেয়ে দামি হয়ে উঠেছে আপনার কাছে৷ আর বহু বহু বছর পরে সেটাই হয়ে উঠবে অমূল্য, প্রাইজলেস!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *