ফতোয়ার তোয়াক্কা না করে ইসকনের রথ অনুষ্ঠানে নুসরাত!

Slider বিচিত্র

কলকাতার ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) এর রথযাত্রার উদ্বোধন করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতার হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটের উল্টো দিকের অ্যালবার্ট রোডে অবস্থিত ইসকনের মন্দির থেকে এই যাত্রা শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রথযাত্রার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জগন্নাথ দেবের পায়ে ফুল নিবেদন করেন মমতা।

এসময় মমতার সাথে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, স্বামী নিখিল জৈন, অভিনেতা সোহম।

তবে এবারের ইসকনের রথযাত্রায় আকর্ষণ ছিলেন নুসরাত। কারণ সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে নুসরাতকেই বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইসকন। নুসরাত ইসকনকে অভিনন্দন জানিয়ে তাতে উপস্থিত থাকবেন বলে আগাম সম্মতি জানান।

স্বভাবতই মমতা-নুসরাত-নিখিলকে দেখতে উৎসাহী মানুষ থেকে মিডিয়ার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। নিজের কথা রেখেই এদিন মমতার সঙ্গে সকালেই নুসরাত পৌঁছে যান ইসকনে। যদিও ইসকনে প্রতি বছরই মমতা যান। এবার তার সঙ্গ দিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। রথে উপস্থিত থাকার সেই ভিডিও পরে মুখ্যমন্ত্রী তার ফেসবুক পেজেও শেয়ার করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষের ভিড়ের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রথের দড়িতে টান দিচ্ছেন নুসরাত। এদিনও নুসরাতের মাথায় ছিল চওড়া সিঁদুর, হাতে লাল রঙের চুড়ি, গলায় মঙ্গলসূত্র। গায়ে লাল-হলুদ শাড়ি। অন্যদিকে নিখিলের গায়ে ছিল সাদা কুর্তা-পাজামা। মমতা-নুসরাতের দড়ি টানার পরেই শুরু হয় ইসকনের রথযাত্রা।

বৃহস্পতিবার রথ উপলক্ষে ভক্তদের টুইট করেও শুভেচ্ছা জানান নুসরাত। তিনি লেখেন, ‘ভগবান জগন্নাথ যেন প্রত্যেকের জীবনে সাফল্য, সমৃদ্ধি, সুখ নিয়ে আসে। আপনাদের সকলকে রথের শুভেচ্ছা। ’

পরে মমতা ও নুসরাত উভয়েই সম্প্রীতির বার্তা দেন। নুসরাত তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমি এখানে আসতে পেরে গর্ব বোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গের একটা বিশেষত্ব রয়েছে। আমরা এখানে জাতি ভেদাভেদ নির্বিশেষে সব উৎসব একসাথে পালন করে থাকি। আমাদের দিদির নেতৃত্বে আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলা শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক। ’

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘গ্র্যান্ড রিসেপশন’ আয়োজন করেছেন সদ্য বিবাহিত নুসরাত-নিখিল জৈন। ওই রিসেপশনে রাজনীতি, সিনেমা, শিল্পমহলসহ বিভিন্ন জগতেরই তারকারা উপস্থিত থাকবেন। কলকাতার আইটিসি রয়্যালে হবে এই রিসেপশন।

অন্যদিকে ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যের পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার মাহেশের রথেও ছিল জনসমুদ্র। পুরীতে এদিন সকাল থেকেই ঢল নামে ভক্তদের। প্রায় কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম হয়েছে পুরীতে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও হুগলি জেলার মাহেশের রথেও কয়েক লাখ ভক্ত জড়ো হয়েছেন জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রা-কে দর্শন করতে।

রথযাত্রা উপলক্ষে ইতোমধ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *