কাউনিয়ায় বন্যার আশঙ্কা

Slider রংপুর

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তার তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ৫১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার মাত্রায় প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।

ফলে ভাটিতে পানি বেড়েছে ও ব্যারেজ এলাকার ভাটির চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া, নীলফামারীর ডোমার, ডালিয়া, জলঢাকা, লালমনিরহাটের সদর, আদিতমারী, পাটগ্রাম, কালিগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ি, ভুরুঙ্গামারী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি ঢুকে যেতে পারে।

কাউনিয়া উপজেলা টেপামধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার সকালে তিস্তা পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়।

এতে ইউনিয়নের আজমখাঁ, চর গনাই, চর হয়বৎখাসহ ৭টি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ে। চরাঞ্চলের আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ায় বাদামসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ক্ষেতের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে বিকেলের দিকে নদীর পানি কমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যেভাবে উজানে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আহসান হাবিব সরকার বলেন, বন্যায় যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সরকারিভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *