উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে এখন ঘর মুখো মানুষের ভিড়

Slider ঢাকা


মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, উত্তরা প্রতিনিধিঃ শিল্পাঞ্চল টঙ্গীর বিভিন্ন ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা বাড়ী ফিরতে শুরু করায় উত্তরবঙ্গগামী বাসষ্টেশন আবদুল্লাহপুর এখন শরগরম। আজ সোমবার ভোর থেকে টঙ্গী ব্রীজ সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর বাসষ্ট্যান্ডে দূরপাল্লার বাসের জন্য শত শত লোকজনকে গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তুরাগ ও টঙ্গী শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানার ছুটি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শ্রমিকেরা ঈদে বাড়ী পথ ধরেছেন। এদিকে শিল্পকারখানার বেতন সমস্যা এবার আর আগের মতো আর নেই। প্রায় সকল কারখানার বেতন পরিশোধ হওয়ায় শ্রমিকরা যেমন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, তেমনি পোশাক শিল্প মালিকরাও বেতন আগে পরিশোধ করায় স্বস্তিবোধ করছেন। তাই অন্য ঈদগুলোর আগে আগে বেতন বোনাসের জন্য শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে দেখা গেলেও এবার মোটাদাগে সেই সমস্যাটি নেই বলে তুরাগ ও টঙ্গীর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সূত্রে জানা গেছে।

তাই এবার অধিকাংশ শ্রমিক ও অন্য পেশার মানুষজন গ্রামে নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে যাওয়া প্রবণতা আগের থেকে বেশী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেননা আগে রোড ঘাটের অবস্থা বেহাল থাকলেও এবারই প্রথম ঘরে ফেরা মানুষ স্বাছন্দ্যে বাড়ী যেতে পারছেন। টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানার ৫ জন শ্রমিক একসাথে বাড়ী ফিরতে দেখা গেছে আবদুল্লাহপুর থেকে। সকাল থেকেই তারা বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বগুড়াগামী একটি বাসের কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়ে পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এবার বেতন বোনাস পেতে কোন সমস্যা হয়নি জানিয়ে তারা বলেন, রাস্তাঘাটের সার্বিক উন্নয়নের ফলে যানজটের তেমন কোন খবর ইতিমধ্যে পাওয়া যায়নি, তাই সুন্দর ভাবে বাড়ীতে গিয়ে ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করতে পারবো এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। সেই সঙ্গে ঈদের ছুটি মিলিয়ে এক সপ্তাহের অধিক সময় পর ঢাকায় ফেরার কথা জানালেন তারা।
আব্দুল্লাহপুরের মতো অবস্থা দেখা যায় বিমানবন্দর রেল ষ্টেশনেও। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে সারাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে দুরপাল্লার ট্রেনগুলো। ট্রেনের নির্ধারিত সিটের বাইরেও যাত্রীদের ট্রেনে উঠতে দেখা গেছে। বিমান বন্দর ষ্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১০ হাজারের অধিক যাত্রী বিভিন্ন রুটের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাজধানীর উত্তর অংশের যাত্রীরা আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর ষ্টেশন ব্যবহার করার ফলে এখানে যাত্রীর চাপ কমলাপুর থেকেও বেশী থাকে বলে জানায় ষ্টেশন মাষ্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *