নিউইয়র্কে জিয়ার মৃত্যুবাষিকী সমাবেশে খালেদার মুক্তি দাবি

Slider বিচিত্র

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। এতে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিনাশর্তে অবিলম্বে মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার দাবি জানায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি। বিএনপি, জাসাস, যুবদল, তারেক পরিষদ এবং ছাত্রদলের সম্মিলিত উদ্যোগে এ কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী এসেছিলেন সভা ভণ্ডুলের জন্যে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন সম্মিলিত প্রতিরোধে।

সমাবেশের সভাপতি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মূলধারার ব্যবসায়ী আকতার হোসেন বাদল বলেন, একাশির ৩০ মে যে ষড়যন্ত্রকারিরা রাষ্ট্রপতি জিয়াকে হত্যা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১/১১তে বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা বাকশালের এজেন্টরা বিএনপি অফিসের তালা ভেঙ্গেছিল। একই গোষ্ঠির লোকজনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

ঘাপটি মেরে থাকা দালালরা এই নিউইয়র্কে বসে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে, যাতে বেগম জিয়া মুক্তি না পান এবং তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরতে না পারেন। এজন্যেই ওরা এসেছিল জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর এ সমাবেশ ভণ্ডুলের মতলবে।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সেক্রেটারি সাইদুর রহমান সাঈদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এদেরকে রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।

যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হবে। এজন্য সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একদলীয় শাসনের অবসান ঘটেছিল। শেখ হাসিনা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। বেগম জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছে। এখন আবার সময় এসেছে নবউদ্যমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু বলেছেন, আমরা পদ-পদবির কাণ্ডারি নই। আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে মাঠে রয়েছি।

নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা বলেন, এটা আমাদের জন্য বড়ই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে, অতীতে যারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি পরিবারে বিবাদ-বিভক্তি ঘটিয়েছেন, আজ এই চরম সংকটের সময়ে তারা নতুন করে মাঠে নেমেছেন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন বাতিলের জন্যে।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব জসীমউদ্দিন (সাবেক ভিপি) বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে শপথ গ্রহণের সময় এসেছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের।

এ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সেক্রেটারি কাওসার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা রুহুল আমিন নাসির, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা দারাদ আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সেক্রেটারি আশরাফ হোসেন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন আব্বাস উদ্দিন দুলাল, অয়েস আহমেদ, আহসান উল্লাহ বাচ্চু, হাসান মাহমুদ, জোহরা বেগম, রইসউদ্দিন, এ কে আজাদ, আলমগীর হোসেন, সিদ্দিক হোসেন রুবেল, সায়েদ আলী, এম এ মান্নান, দেওয়ান হোসেন প্রমুখ।

বৃষ্টির মধ্যেই ইফতারের প্রাক্কালে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় মাওলানা অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে। আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনীভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *