মৌলভীবাজারে ভোক্তার উপ-পরিচালক অবরুদ্ধ

Slider বাংলার মুখোমুখি সিলেট


মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আলামিনকে ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে ব্যবসায়ীরা। এ সময় তারা দোকানপাট বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করেন। আজ অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার জের ধরে শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে জেলা প্রশাসনের আশ^াসে অবরোধ তোলে নেন ব্যবসায়ীরা।

জানা যায়, আজ দুপুর ১টার দিকে শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের কয়েকটি কাপড়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে জরিমানা করতে যান ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক মো. আল অমিন। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগকারীর নাম জানতে চাইলে তিনি অপারগতা জানান। অভিযানে তার সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্যদের না দেখতে পেয়ে তার কারণও জানতে চান ব্যবসায়ীরা। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, কিছুদিন পূর্বে অভিযানের পর আবারও একই দোকানগুলোতে ঈদের আগে হঠাৎ অভিযান তাদের সন্দেহ হয়। তাই ব্যবসীয়ারা তার প্রতি পণ্যের দাম ও মান নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তারপরও তিনি কয়েকটি দোকানে বড় অঙ্কের জরিমানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি এমবি ও বিলাসে বিদেশী পারফিউম ও অন্যান্য পণ্যের দাম অতিরিক্ত রাখা হয়েছে- এমন অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন বিলাসের মালিক সুমন আহমদ ও সুহাদ আহমদ। ভোক্তা অধিকারের ওই কর্মকর্তা তখন ক্ষেপে গিয়ে জরিমানার টাকা দেয়ার কথা বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আশপাশের ব্যবসায়ীরা তার ঈদের আগে এমন অভিযানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

ব্যবসায়ীরা উপ-পরিচালক মো. আল আমিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সড়কে অবস্থান নেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতারা। পরে জেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় পুলিশ ভোক্তা অধিকারের উপ-পরিচালকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, জরিমানার সময় শুভ্র ভট্রাচার্য্য নামের একই ব্যক্তি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হিসেবে দেখানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবারই অভিযানে আসলে অভিযোগকারী ওই একই ব্যক্তিকে দেখানো হয়। তারা বলেন, ভোক্তা অধিকারের ওই উপপরিচালক (আল আমিন) ও তার সঙ্গে একটি চক্র আছে। যারা অভিযোগকারী হলে শতকরা ২৫ ভাগ টাকা পায়। সবাই মিলে তারা জোটবদ্ধভাবে অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের চরম হয়রানী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *