নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ডিম ভাঙার ঘটনায় এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মঙ্গলবার তদন্ত শেষ করেছে। তদন্তের শেষ দিনে বিকেলে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন সিকদারকে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে। একই সাথে দেলোয়ার হোসেন নামে নতুন ওসি যোগদান করেছেন। বগুড়া হাইওয়ে রেঞ্জের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এই ঘটনায় একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী ট্রাফিক উপ-পরিদর্শক, পুলিশ পিকআপের চালক ও তিনজন কনস্টবলসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পুলিশ হেড কোয়ার্টারে জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেল প্রেস ব্রিফিং করে এই বিষয়ে সাংবাদিকদের আপডেট তথ্য প্রদান করবে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে পিকআপ ভর্তি মুরগীর ডিম ভাঙার পর তদন্ত কমিটির প্রধান শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থল বনপাড়া-হাটিকুমুরুল মহাসড়কের বড়াইগ্রামের বনপাড়া আগ্রান সূতিরপাড় এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলেন। গত সোমবার ডিম বহনকারী পিকআপ থানায় টেনে নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত রেকারের চালক পারভেজ হোসেন, হেলপার মোখলেস আলীকে তদন্ত কমিটি বগুড়ায় ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে ৩৫ হাজার একশ’ ডিম নিয়ে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ থেকে বনপাড়া হয়ে যশোরে যাচ্ছিল একটি পিকআপ। পথে বড়াইগ্রামের আগ্রান সূতিরপাড় এলাকায় পিকআপটির চাকা পাংচার হয়ে গেলে সেটি পাশের ফিডার রোডে নেমে যায়। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপ উদ্ধারের জন্য রেকার ভাড়াসহ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। চালক এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা পিকআপে ডিমের খাঁচি বাধার রশি চাকু দিয়ে কেটে দেয়। তাতে প্রায় তিন লাখ টাকার ডিম নষ্ট হয় বলে অভিযোগ করেন ডিম ব্যবসায়ী।