স্কুলছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ: পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ঢা

Slider নারী ও শিশু

ঢাকা: মাদারীপুর সদর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ সদস্য মো. মোক্তারকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদারীপুরে পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরপরই মাদারীপুর সদর সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপি বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে দুই সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দেবে। অভিযুক্ত মোক্তারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সা‌পে‌ক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এ ব্যাপারে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এখনো কেউ মামলা করেননি।

এ দিকে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী আহত অবস্থায় রোববার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য মোক্তার দীর্ঘ দিন থেকে শহরে একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। রোববার রাতে তাঁর খালি বাসায় প্রতিবেশী এক স্কুলছাত্রীকে ডেকে নেন। মোক্তার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও মারধর করেন। পাশের বাড়ির এক যুবক বিষয়টি বুঝতে পেরে বাইরে থেকে মোক্তারের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন এবং স্থানীয়দের খবর দেন। ওই পুলিশ সদস্য এটা টের পেয়ে স্কুলছাত্রীকে ঘরের পেছনের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেন। এতে ওই স্কুলছাত্রীর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা অখিল সরকার বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের কথা বলে এক কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডান পায়ের হাড় ভাঙা থাকায় সেখানে প্লাস্টার করা হয়েছে। এ ছাড়া তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ব্যথা রয়েছে।’

সোমবার দুপুরে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায় ওই স্কুলছাত্রীর ডান পায়ের অর্ধেকটা ব্যান্ডেজে মোড়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে বলে, ‘জরুরি কাজ আছে বলে পুলিশ সদস্য আমাকে বাসায় ডাকেন। আমি বাসায় গেলে তিনি দরজা বন্ধ করে নির্যাতনের চেষ্টা করেন। ভয়ে আমি চিৎকার করলে তিনি আমাকে মারধর করেন। স্থানীয়রা টের পেয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলে আমাকে তিনি ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরে আমি উঠে দাঁড়াতে পারছিলাম না, তখন স্থানীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *