শেরপুরে হতদরিদ্র পরিবারের ২ শিশুকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

Slider বাংলার মুখোমুখি সারাদেশ

শেরপুর: শেরপুরের নকলায় এবার হতদরিদ্র পরিবারের ২ শিশুকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে শামীম মিয়া (১৮) নামে এক লম্পট নির্মাণ শ্রমিক। এ ঘটনায় নকলা থানায় মামলার পর রাতেই ধর্ষক শামীম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষণের শিকার ৬ ও ৭ বছর বয়সী ওই ২ শিশু উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদি নয়াপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর ধর্ষক শামীম স্থানীয় নওশেন আলীর ছেলে ও পেশায় রাজমিস্ত্রির যোগালী (নির্মাণ শ্রমিক)।

আজ সকালে ওই ২ শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে আদালতে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক শামীমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদি নয়াপাড়া গ্রামের লম্পট নির্মাণ শ্রমিক শামীম মিয়া দিনমজুর পরিবারের প্রতিবেশী পরস্পর চাচাতো-জ্যাঠাতো বোন ওই ২ শিশুকে খাবার দেওয়াসহ নানা প্রলোভনে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি কাঠগাছের বাগান নিয়ে যায়।
এরপর তাদের পরনে থাকা হাফপ্যান্ট খুলে একে একে ২ শিশুকেই ধর্ষণ করে লম্পট শামীম। এরপর নানা ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ওই সময় তারা ঘটনাটি চেপে গেলেও রাতে ব্যথা শুরু হওয়ায় একজন তার দাদিকে ঘটনাটি জানায়। এরপর শুক্রবার সকালে বিষয়টি এলাকায় তা জানাজানি হয়। এরপর ওই ২ শিশুর একজনের বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় নকলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হলে তাৎক্ষণিক ওই ২ শিশুকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।

পরে রাতেই এসআই শরিফ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শামীমকে।

এ ব্যাপারে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ জানান, ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত একমাত্র আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার ২ শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *