স্টাফ রিপোর্টার: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করে শুক্রবার এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়, ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলসমূহের কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই অঞ্চলগুলোর প্রধান নদী, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যাদুকাটা, তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার সকালে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর রাতে বাংলাদেশের স্থলভাগ অতিক্রম করা শুরু করে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কিছুটা দুর্বল হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে ফণী। পরে বৃষ্টি ঝরিয়ে খুলনা বিভাগের বৃহত্তর যশোর, রাজশাহী, রংপুর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে পৌঁছাতে পারে ভারতের মেঘালয়ে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।