ফণীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, আহত শতাধিক

Slider বাংলার মুখোমুখি


ভুবনেশ্বর: সতর্কতা আগেই জারি হয়েছিল। তা সত্বেও আঘাত এড়ানো যায়নি। ভেঙে পড়েছে গাছ, ঘর। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮। আহত শতাধিক।

২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় আছড়ে পড়েছে ওই রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

সেইসঙ্গে একেবারে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থাও। তিনজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে। ভুবনেশ্বর, কটক ও পুরী সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার রাতেই মধ্যেই ওডিশা থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে ফণী৷ তবে এরাজ্যে প্রবেশের সময় তার শক্তি অনেকটাই ক্ষয় হবে৷ বাংলায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার৷ পূর্বাভাস মৌসম ভবনের৷

১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে ওডিশার কিছু কিছু জেলা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ গঞ্জাম, পুরীর ৩ লক্ষ এবং ১.৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে৷ প্রায় ৫,০০০ রান্নাঘরে শুরু হয়েছে কাজ, যাতে সকলকে খাবার যথাসময়ে দেওয়া যেতে পারে৷

ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্টে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে।

অন্যদিকে, কলকাতার দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ফণী। দীঘা উপকূলের প্রায় কাছে এসে গিয়েছে ঝড়।

ঝড় এদিন বিধ্বংসী আকার নিতে পারে৷ তার একটাই কারন পঞ্জিকা বলছে আজ শুক্রবার অমাবস্যা শুরু৷ অমাবস্যা মানে ভরা কোটাল৷ যে সময় জলোচ্ছ্বাসের প্রবণতা থাকে৷ তার সঙ্গে যদি যুক্ত হয় ঘূর্ণিঝড়৷ তাও আবার যদি গতিবেগ হয় ১০০ কিলোমিটারের বেশি৷ ফলে এবার ঘূর্ণিঝড় ফণীতে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে অনেক বেশি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *