ভারত নদী আইন মানছে না

অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয় টপ নিউজ নারী ও শিশু বাংলার আদালত বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি সারাদেশ সারাবিশ্ব

38608_biseh-1
এরশাদ মজুমদার
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের নদীগুলোর বেশির ভাগেরই উৎপত্তি হয়েছে ভারতের হিমালয়ে। আর এ কারণেই প্রায় সব নদীই আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে পরিচিত। যদিও ভারত এসবের কোনো তোয়াক্কা করে না। সব নদীর সাথে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও নেপালের সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবেশীদের সাথে কোনো আলাপ-আলোচনা ছাড়াই ভারত নদীগুলোতে বাঁধ দেয় ও একতরফা পানি প্রত্যাহার করে। এ বিষয়ে চীন ও পাকিস্তানের অবস্থা অন্যান্য প্রতিবেশীর তুলনায় শক্তিশালী। সিন্ধু নদের সমস্যা পাকিস্তান ও ভারত বহু আগেই সমাধা করেছে। বিশ্বব্যাংক তারবেলা ড্যাম তৈরি করার ব্যাপারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। সিন্ধুর মতো আরো অনেক আন্তর্জাতিক নদী রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে। এসব নদীর কোনো সমস্যাই ভারত সমাধা করতে চায় না। বরং প্রতিবেশীর অধিকারকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করে একক সিদ্ধান্তে নানা ধরনের বাঁধ দিচ্ছে ও পানি তুলে নিচ্ছে। চীন ছাড়া প্রতিবেশী আর কোনো দেশকে ভারত পাত্তা দিতে চায় না। ভারতের হাবভাব দেখে মনে হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল এই আশায় যে, সব দিক থেকে স্বাধীন দেশটাকে শোষণ করতে পারবে। পাকিস্তান আমলে ভারত ফারাক্কা বাঁধ দিতে চেয়েছিল; কিন্তু পাকিস্তানের শক্তিশালী বিরোধিতার মুখে বাঁধের কাজ বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথেই ভারত ফারাক্কা বাঁধের কাজ শুরু করে এবং কাজটি বঙ্গবন্ধুর আমলে শেষ করেই চালু করে। বঙ্গবন্ধুর সরকার এতে প্রতিবাদ করলেও ভারত তাতে কান দেয়নি। কারণ বাংলাদেশ তাদের বন্ধুদেশ, যেমন নেপাল ও ভুটান বন্ধু। পরে বঙ্গবন্ধু অনেক দরকষাকষি ও দেনদরবার করে একটি চুক্তি স্বার করেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে। ভারত চুক্তির শর্তগুলো কখনোই মানতে চায়নি। কখনোই মানেনি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু সরল বিশ্বাসে চুক্তি মোতাবেক ভারতকে বেরুবাড়ী হস্তান্তর করেন; কিন্তু ভারত আজো আঙ্গরপোতা দহগ্রাম ও তিনবিঘা হস্তান্তর করেনি। ভারত কেমন প্রতিবেশী তা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জানে চীন ও পাকিস্তান। চীনের সাথে ভারতের ব্যাপক সীমান্ত সমস্যা রয়েছে। চীন ভারতের দখলে থাকা অনেক অঞ্চলের দাবিদার। সেসব এলাকাকে চীন বিতর্কিত এলাকা হিসেবে তাদের ম্যাপে দেখাচ্ছে। এমন কি গোটা অরুনাচল রাজ্যটাই চীন দাবি করছে। ভারত জোর করে আমাদের তালপট্টি দখল করে রেখেছে। এখন তাদের নেভি দিয়ে এলাকাতে টহলদারি করছে। এখন তো বাংলাদেশ সরকার ভারতের পরম বন্ধু। জনগণ আশা করেছিল ভারতের সাথে বিরাজমান নদী ও সীমান্ত সমস্যাগুলো খুব সহজেই মিটে যাবে; কিন্তু মিটছে না। কারণ ভারত মনে করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এরা। ফলে কিছু সুযোগ-সুবিধা তো ভারত নিতেই পারে। ভারতের পরম বন্ধু আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যেই বহু সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে দেশবাসী মনে করে।
১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফারাক্কা ইস্যু জাতিসঙ্ঘে উত্থাপিত করেন। তারই রেশ ধরে ’৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবিতে লংমার্চের ডাক দেন। মওলানা সাহেবের লংমার্চে সারা দেশে ব্যাপক সাড়া পড়ে। নির্ধারিত দিনে রাজশাহীতে জমায়েত হওয়ার জন্যও তিনি আহ্বান জানান। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন স্তরের মানুষ রাজশাহীর পথে রওনা দেন। ১৬ মে সকালের দিকে তিনি রাজশাহীর মাদরাসা ময়দানের বিরাট জনসভায় জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন। মওলানা ভাসানীর লংমার্চের যাত্রাকে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়া নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম আর খানকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড টানাপড়েন চলছিল। দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী মওলানা ভাসানীকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন, তিনি যেন সীমান্ত অতিক্রম না করেন। তবুও ভারত সীমান্তে ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। উত্তেজিত জনতা যদি কোনো কারণে সীমানা লঙ্ঘন করে ফেলে তখন কী হবে। বাংলাদেশের সরকারও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল। কোথাও যেন কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা দেখা না দেয়। মওলানা ভাসানীর সাথে দুই সরকারেরই যোগাযোগ চলছে। এ রকম লংমার্চ তার জীবনে আর হয়নি। উভয় সরকারেরই চিন্তা যদি মওলানা ভাসানী উত্তেজিত ও ুব্ধ জনতাকে তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তখন কী হবে। লংমার্চের যাত্রাবিরতি হয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তখন আমের দিন ছিল। এলাকার মানুষ লংমার্চে অংশ নেয়া মানুষের জন্য টনে টনে আম নিয়ে এসেছিলেন। যাত্রাবিরতি ও বিশ্রাম শেষে লংমার্চ ফারাক্কা অভিমুখে আবার যাত্রা শুরু করে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত লংমার্চ সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কানসাটে গিয়ে থামে। মতিলাল নেহরু ছিলেন মওলানা ভাাসানীর বন্ধু। সেই সুবাদে নেহরু পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে সম্মান করতেন। নেহরু পরিবারের সাথে পাকিস্তানের সীমান্তগান্ধী গাফফার খানের পরিবারের সাথেও অমন সম্পর্ক ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দিল্লি সরকার মজলুম জননেতা মওলানাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল বলে লোকমুখে প্রচার রয়েছে। দিল্লি সরকারের আশঙ্কা ছিল মওলানা মুুক্ত থাকলে কখন কী করে বসেন তার ঠিক নেই। যদিও সে সময়ে মওলানা সর্বদলীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। তবে গৃহবন্দী অবস্থাতেও তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপে বিবৃতি দিয়ে বিশ্ববাসীর সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর পরই দিল্লি সরকার নানাভাবে বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে উঠে পড়ে লাগে। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সব সময়ে মওলানা ভাসানীর সাথে আলোচনা করতেন। ডিপি ধর ৭৩-৭৪ সালের দিকে কোনো ধরনের প্রটোকল না মেনে যখন তখন ঢাকায় চলে আসতেন। মওলানা ভাসানী ভারতবিরোধী আন্দোলন শুরু করলে দিল্লির কিছুটা হুঁশ হয়। মওলানা ভাসানীর চাপেই ভারত শেষ পর্যন্ত ফারাক্কা চুক্তি করতে বাধ্য হয়। যদিও শেখ মুজিব ভারতীয় কূটচালের মুখে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। আজ বাংলাদেশের রাজনীতি ও চিন্তার জগৎ বিভক্ত। ভারতের নদীনীতি ও ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশের পরিবেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশের বড় বড় নদীগুলো শুকাতে শুরু করেছে। ভারত বিভিন্ন নদীতে শত শত বাঁধ তৈরি করেছে বাংলাদেশের সাথে কোনো ধরনের আলোচনার তোয়াক্কা না করে। ভারত আন্তর্জাতিক নদী ও পানি লঙ্ঘন করেই বাঁধ দিচ্ছে ও পানি প্রত্যাহার করছে। ৪৪ বছর পার হতে চলেছে বাংলাদেশ কখনোই কোনো ধরনের শক্ত পদপে বা অবস্থান নিতে পারেনি। আজ আমাদের কোনো অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা নেই। যিনি মওলানা ভাসানীর মতো ‘খামোশ’ বলে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে তুলবেন। সব জাতীয় ইস্যুতেও জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে না। আগেই বলেছি জাতি আজ বিভক্ত। দলীয় স্বার্থের বাইরে কেউ-ই কথা বলতে চান না। সবচেয়ে বেদনা ও দুঃখের বিষয় হলো, দেশের বুদ্ধিজীবী যারা নিজেদের জাতির বিবেক মনে করেন তারাও আজ দলীয় চিন্তার বাইরে কথা বলতে পারেন না। বরং পরিস্থিতি এখন উল্টো দিকে বইতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী দিল্লি গিয়ে পদ্মভূষণ সম্মাননা নিয়েছেন, যা আমাদের সংবিধান ও জাতীয় চেতনার বিরোধী। দেশে বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত লোক আছেন যারা বাংলাদেশে কিছু ঘটলেই ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। এরা ভারতের অর্থে লালিত ও পালিত। এরা ভারতের হয়ে কাজ করেন। এরাই সব সময় শেখ হাসিনার কাঁধে ভর করে আছেন। অনেক দিন পর শুনতে পেলাম, পানিমন্ত্রী বলেছেন, ভারত যদি নদীসমস্যা সমাধা না করে তাহলে বাংলাদেশ আদালতে যাবে। ২০০৭ সালেই বাংলাদেশের কপাল পুড়েছে। জেনারেল মইনের মতা দখলের মাধ্যমেই ভারত এখন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বাসর ও পাকঘরে ঢুকে পড়েছে। ২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচন করে ভারতীয় এজেন্ট জেনারেল মইন শেখ হাসিনাকে মতায় বসিয়ে যায়। খালেদা জিয়ার দুই ছেলেকে আটকে রেখে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। এখন তো কথাবার্তা, আকার ইঙ্গিতে মনে হয় ভারতের হাইকমিশনার বাংলাদেশের একজন রাজ্যপাল। সোজা কথায় বলা যেতে পারে এমন কোনো গোপন রহস্য আছে, যা শুধু শেখ হাসিনাই জানেন যার জন্য ভারত জোর করেই সব কিছু আদায় করতে চায়। কোনো অজানা কারণে হাসিনা বাধ্য হয়ে ভারতের দাবি মেনে নিচ্ছেন। অনেকেই বলছেন, ভারত হাসিনাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। উল্লেখ্য, ’৭৫ থেকে ’৮০ সালের মে মাস নাগাদ শেখ হাসিনা ও তার পরিবার ভারতের আশ্রয়ে ছিলেন। তিনি দেশে ফিরে আসার অল্প কিছু দিন পরেই জিয়াউর রহমান নিহত হন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, ভারত থেকে আগত মোহাজের পরিবারের সন্তান জেনারেল এরশাদ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে ছিলেন। ’৭৩ সালে পাকিস্তান থেকে ফিরে এলেই বঙ্গবন্ধু অদৃশ্য শক্তির নির্দেশে তৎকালীন এরশাদকে উচ্চতর প্রশিণের নামে ভারতে পাঠিয়ে দেন। তখনি এরশাদ দিল্লির নজরে পড়েন এবং আগামী দিনের জন্য আস্থা অর্জন করেন। জিয়া এরশাদকে সেনাপ্রধান করে ভুল করেছেন। যেমন খালেদা জিয়া জেনারেল নাসিম ও জেনারেল মইনকে সেনাপ্রধান করে নিজের সর্বনাশ ডেকে এনেছিলেন। তখন রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস খালেদা জিয়াকে রা করেছিলেন; কিন্তু ইয়াজউদ্দিন সে কাজটি করতে পারেননি। নাসিমের সময় ভারত আঁটঘাট বেঁধে নামেনি; কিন্তু জেনারেল মইন ষোল আনাই তাদের লোক ছিলেন। দুর্ভাগ্য খালেদা জিয়া জেনারেল মইনকে চিনতে পারেননি। যেমন জিয়া জেনারেল এরশাদকে চিনতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুও একই ভুল করেছিলেন। তিনি দুর্বল চিত্তের লোক জেনারেল সফিউল্লাহকে সেনাপ্রধান করেছিলেন।
এবার ফারাক্কা দিবস আমাদের সামনে এসেছে যখন দেশ একটি কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলেছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন সারা দেশকে অশান্ত করে তুলেছে। প্রতিদিন মানুষ খুন ও গুম হচ্ছে। নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশবাসী সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না। সরকার বিরোধী দলকে পঙ্গু করে রাখতে চায়। জামায়াতকে নিশ্চিন্ন করার স্কিম নিয়েই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মামলা। তারা ঘরছাড়া, এলাকাছাড়া। অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। সরকার ভারতের পরামর্শে জোর করে আমলা, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সহায়তায় ৫ জানুয়ারির অবৈধ নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। বিদেশীরা বলছেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন আইন রা করেছে; কিন্তু নৈতিকতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এখন বলছে পাঁচ বছর মতায় থাকবে। আমলাদের কাছে সরকারের দায় অনেক বেড়ে গেছে। জগতের সব স্বৈরাচারী সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বাহিনীনির্ভর হয়ে পড়ে।
কানসাট থেকে মওলানা কৌশলগত কারণে সীমান্তের দিকে আর এগিয়ে যাননি। ফলে দুই দেশের সরকারই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। কানসাটে মওলানা এক বিরাট জনসভায় ভাষণ দেন। সেই ভাষণের মূল বিষয় ছিল ভারতের আধিপত্যবাদ সম্পর্কে জনগণকে সজাগ ও সচেতন করা। জনগণকে ভারতের চরিত্র সম্পর্কে অবহিত করা; কিন্তু এমন কাজটি করার জন্য বাংলাদেশে আজ একজন নেতাও নেই। শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়া। দুইজনই নিহত হয়েছেন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে। দুইজনই ছিলেন বাংলাদেশের স্বার্থের প্রশ্নে আপসহীন।
শুধু ফারাক্কা কেন ভারত ইতোমধ্যে আরো বাঁধ তৈরি করেছে। অবিরাম পানি তুলে নিচ্ছে
আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে। তিস্তাচুক্তি করবে বলে শেখ হাসিনার সামনে মুলা ঝুলিয়ে রাখছে আর অবিরাম আমাদের দেশের রাস্তাঘাট, নদীনালা, সাগরবন্দর, নদীবন্দর দখল করে নিচ্ছে। আরো বেশি বেশি শোষণের জন্যই ভারত বাংলাদেশে অনুগত দাস মনোভাবাপন্ন সরকার চায়। চলমান সরকার তেমনি একটি সরকার। না হলে নেপাল, ভুটান, সিকিম, কাশ্মির, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অবস্থা হবে।
লেখক : কবি ও ঐতিহ্য গবেষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *