বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় চাইলে আদালত নমনীয় হবে না

Slider জাতীয়


ঢাকা:হাতিরঝিলের বিষফোঁড়া খ্যাত বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে ফের সময় চেয়ে আবেদন করা হলে তাতে আদালত নমনীয় হবেন না বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একইসঙ্গে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় চেয়ে করা আবেদন আদালত অবমাননা হবে কি-না এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তা আদালতে যাবে এবং সেটা আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে, আদালতের বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও বিজিএমইএ এখনো ভবন ভাঙার কাজ শুরু করতে পারেনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনটি থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার সুযোগ রেখে ভবন ভাঙার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যেই ভবনটি ভাঙতে ফের সময় চেয়ে গত ১১লা এপ্রিল আপিল বিভাগে আবেদন করে বিজিএমইএ। যদিও আবেদনটি আদালতে উত্থাপন করা হয়নি। পরে বিজিএমইএ’র এ আবেদন প্রত্যাহার চেয়ে ১৭ই এপ্রিল বিজিএমইএ সভাপতিকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই আবেদন প্রত্যাহার না করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি। ২০১১ সালের ৩রা এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন।
এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২রা জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। এরপর একাধিকবার আবেদন করে ভবনটি অপসারণে কয়েক দফা সময় নেয় বিজিএমইএ। সর্বশেষ গত বছর আদালত বিজিএমইএ’কে বলেন, ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা দিলে তবেই আদালত ভবন ভাঙতে সময় বাড়িয়ে দেবেন।

আদালতের নির্দেশনা মেনে বিজিএমইএ মুচলেকা দিলে ২রা এপ্রিল ভবন ভাঙতে এক বছর ১০ দিন সময় দেন আপিল বিভাগ। এ বছরের ১২ই এপ্রিল ছিল ওই সময়ের শেষ দিন। তবে ওই দিন ভবনটি ভাঙতে পারেনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। বাংলা নববর্ষ ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ভবন ভাঙার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার শুরু হয় ১৬ই এপ্রিল। ওই দিন সকাল থেকে ভবনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে মালপত্র সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর ভবনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়। সাড়ে ৭টার দিকে ভবনের মূল ফটকটিও করে দেয়া হয় সিলগালা। তবে বিজিএমইএ ভবনের মালপত্র সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার সময় দিয়ে বলা হয়, আজকের মধ্যেই সব মালপত্র সরিয়ে নিতে হবে। এর পর আর সময় দেয়া হবে না।

এই বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *