‘শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে সিগারেটের দোকান নয়’

Slider চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে কোনো প্রকারের তামাকপণ্যের দোকান রাখা যাবে না। সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক স্থানের একশ’ গজের মধ্যে সকল প্রকার তামাকের দোকান শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা হবে। ’

সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘সকলের অংশগ্রহণে নিশ্চিত হোক তামাকমুক্ত নগরী’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উন্নয়ন সংস্থা বিটা, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ও ইলমার উদ্যোগ এবং সিটিএফকের সহায়তায় তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় নিষেধাজ্ঞার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযান ও কবিগান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বিটার নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্তের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প সমন্বয়কারী অশোক বড়ুয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রমের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, ক্যাব-চট্টগ্রামের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড কনসালটেন্ট ড. শরিফুল আলম, বিটার টিম লিডার প্রদীপ আচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে কবিগানের মাধ্যমে উপস্থিত সকলের কাছে তামাকমুক্ত নগরী গড়ার বার্তা পৌঁছে দেন কবিয়াল মো. ইউসুফ এবং কবিয়াল নিরঞ্জন সরকারের দল।
সিটি মেয়র বলেন, তামাকমুক্ত নগর গড়ার পক্ষে আমি। আজকে যে শিশু, আগামীতে সে যুবক হবে। তাই শিশুদের এখন থেকে সচেতন করবে হবে। তামাকের ভয়ংকর দিকগুলো তাদের জানাতে হবে। তাদের সামনে ধূমপান করা যাবে না। যারা মাদকাসক্ত তারা ৯৯ শতাংশই প্রথমে ধূমপায়ী ছিল। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত জীবন উপহার দিতে আমাদের এখন থেকে সচেতন হতে হবে। দেশ উন্নত হচ্ছে, আমাদের মানসিকতাও উন্নত করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *