বরিশাল নগরীর রূপাতলী বোম্বে প্লাজায় স্থাপিত আশরাফুন্নেছা হাফেজী মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে আহত ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে (১৪) শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আয়শা রূপাতলী এলাকার হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক সানজিদা ও আয়া নাজমা আক্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গত রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী নির্যাতিত ছাত্রীর মা নিলুফার আক্তার জানান, ওই মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি হেফজ শেষ করে আয়শা। এ কারণে সে বাসায় অবস্থান করছিল।
গত শুক্রবার মাদ্রাসার আয়া নাজমা তাকে (আয়শা) বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পর আয়শাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। পরদিন শনিবার বিকেলের দিকে আয়শাকে শিক্ষিকা সানজিদা ওই ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে নিয়ে তারা বেত দিয়ে বেদম মারধর করে। এতে আয়শা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে আয়শাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করান।
নিলুফা আরও জানান, ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ফারজানা ও শাহানাজ ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা বানাতে বলে ছাত্রীদের। এ কারণে সেখানকার ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়। এদের মধ্যে লিজা, যুথি ও তাহিয়া ঘুমের ওষুধ এনে তাদের চায়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই মেয়েরা তাদের দোষ ঢাকতে তার মেয়ের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এ কারণে তার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের নির্দেশে এভাবে নির্যাতন চালানো হয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিদের গত রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।