মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধার

Slider চট্টগ্রাম


চট্টগ্রাম: গতকাল বুধবার রাতে নগরের বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত হাবিবুর জামেয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায়। বাবা আনিসুর রহমান সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি পরিবারের নিয়ে নগরের শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় থাকেন।

আজ দুপুরের দিকে মর্গের সামনে আনিসুর রহমান বলেন, চার দিন আগে তাঁর ছেলেকে মাদ্রাসার শিক্ষক তারেক আহমেদ মারধর করেন। এ কারণে তাঁর ছেলে মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে আসে। পরদিন বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুরকে মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় হাবিবুরের খোঁজ করা হয়। তবে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত নয়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুর মাদ্রাসার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে।

আনিসুর রহমানের অভিযোগ, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। আত্মহত্যা করার বয়স তার হয়নি। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। পড়া না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক তারেক চার দিন আগে তার ছেলেকে মারধর করেছেন। এবারও ওই শিক্ষক রাগের বশে তার ছেলেকে মেরে ফেলেছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান তিনি। ময়নাতদন্তের পর মামলা করবেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক তারেক আহমেদ বলেন, গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদ্রাসায় খেলাধুলা করে হাবিবুর। মাগরিবের পর অন্য শিক্ষার্থীদের দেখা গেলেও হাবিবুরকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার চতুর্থ তলার একটি কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। হাবিবুর কেন আত্মহত্যা করেছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। চার দিন আগে হাবিবুরকে সামান্য কয়েকটি বেতের বাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।

বায়েজীদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *