নারায়ণগঞ্জের সকল ঘটনায় একটি পরিবার জড়িত : আইভী

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় টপ নিউজ ঢাকা বাংলার মুখোমুখি রাজনীতি সারাদেশ সারাবিশ্ব

45977_aivi
নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, দীর্ঘদিনের কারণে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে নারায়ণগঞ্জে। এসব খুনের পেছনে একটি রাজনৈতিক দলের ভিত্তি ছিল। ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছিল আলমগীর, নূরন্নবীসহ অনেককে। কিন্তু তখন কেউ ভয়ে কথা বলেনি। আশিককে খুন করার পরে আমি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন এমপি নাসিম ওসমান বলেছিলেন দুই একটি খুন হতেই পারে। মুলত নাসিম ওসমান তার ছেলে যুবরাজকে আশ্রয় প্রশয় দেয়ার কারণেই এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে যুবরাজের নির্দেশে ছাত্রলীগ নেতা মিঠুকে হত্যা করা হয়েছিল। ত্বকীকে হত্যা করা হয়েছে ত্বকীর বাবা আমার নির্বাচন পরিচালনা করেছিল এজন্য। আমার সন্তানদের হুমকি দিয়েছে। শামীম ওসমান বলেছে আমার কোমলমতি সন্তানদের উপর আঘাত করবে। কারণ আমি শহীদ মিনারে প্রকাশ্যে বলেছিলাম খুনের বিচার হোক। সাত খুনেরও ধামাচাপা পড়ে যেত যদি আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার ড্রাইভার না মরতো। এত দূরে আসতো না। মেয়র আরো বলেন, দুই বড় দল এখন ৬৪ জেলাতে গডফাদার তৈরি করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করে। এদের রাজনীতিমুখী কর্মী দরকার নাই। আগে যারা দলের নিঃস্বার্থ রাজনীতি করতো সে রাজনীতি এখন নাই।
তিনি আরো বলেন, একজন সংসদ সদস্য ও মেয়র যখন নির্বাচিত হয় তখন সবার জন্য। প্রধানমন্ত্রীও সবার। সকলকে মানুষের নিরাপত্তারর জন্য কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সকল ঘটনার জন্য একটি পরিবার জড়িত। ২৬ তারিখ নির্বাচন কী হবে সেটা আমার জানা নাই। ভোট  সুষ্ঠু হবে কি হবে না সেটা আমার জানা নেই। কিন্তু কোন কোন প্রার্থী ইতিমধ্যে বলেছে একটি ভোট পেলেও নাকি নির্বাচিত হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস কাবের মিলনায়তনে দৈনিক প্রথম আলোর উদ্যোগে ‘অপহরণ, গুম, খুন কোথায় চলছে নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসকল কথা বলেন মেয়র আইভী। গোলটেবিলের সঞ্চালনায় ছিলেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাইউম।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোশকতা ছাড়া খুন গুম সম্ভব না। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জবাসীর বিপক্ষে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস নিয়ে অসত্য ভাষণ দিয়েছেন। টর্চার সেলে যখন অভিযান চালিয়েছিল তখন রাষ্ট্রের প্রভাবে র‌্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১২ জন জড়িত ত্বকী হত্যার কোন অগ্রগতি নাই। নূর হোসেনকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে আরো জড়িত তাদের নাম প্রকাশ না হয়। সরকার যখন দেখে সরকারের লোক জড়িত তখন সরকার বিচারের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ২৬ তারিখের নির্বাচনে মানুষ এ জবাব দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *