সাড়ে তিন বছর পর দেশে ফিরলেন সাত নাবিক

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয় সারাদেশ সারাবিশ্ব

45924_Nabik-00
গ্রাম বাংলা ডেস্ক: মুক্তি পাওয়ার পর দেশে ফিরে আসা সাত বাংলাদেশি নাবিককে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।

সোমালিয় জলদস্যুদের কবল থেকে সাড়ে তিন বছর পর মুক্ত সাত বাংলাদেশী নাবিক দেশে ফিরছেন।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফাইটে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।

এ সময় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাদের অভ্যর্থনা জানান।
নাবিকদের পরিবারের সদস্যরাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশে ফেরা সাত বাংলাদেশী নাবিক হলেন- সাতক্ষীরার গোলাম মোস্তফা, হাবিবুর রহমান, আবুল কাশেম সরকার ও নুরুল হক, চাঁদপুরের লিমন সরকার এবং চট্টগ্রামের আমিনুল ইসলাম ও জাকির হোসাইন।
তাদের সাথে একই দলে একজন ভারতীয়, দু’জন শ্রীলঙ্কান এবং একজন ইরানি নাবিকও ছিলেন। জলদস্যুদের কাছ থেকে তারাও মুক্তি পেয়েছেন।
নাবিকরা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন জানিয়ে মেরিটাইম পাইরেসি অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ান রেসপন্স প্রোগ্রামের (এমপিএইচআরপি) প্রধান প্রকৌশলী চিরাগ বাহারি সাংবাদিকদের বলেন, উদ্ধারের পর থেকেই আমরা তাদের পাশে ছিলাম। তাদের চিকিৎসা দিয়েছিলাম, খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম। তবে তারা যে অবস্থায় ছিলেন তার জন্য বাংলাদেশেও তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় রাজধানীর হোটেল মেরিনোতে মুক্ত নাবিকরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বলে জানান তাদের উদ্ধারে মূল ভূমিকা রাখা সংস্থাটির এই কর্মকর্তা।
গত শনিবার ছাড়া পাওয়ার পর থেকে এই সাত নাবিক কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ছিলেন। আমিরাত থেকে কেনিয়া যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আলবেডো ২০১০ সালে ভারত মহাসাগরে ছিনতাই হওয়ার সময় ওই সাত বাংলাদেশী জাহাজটিতে ছিলেন।
ছিনতাই হওয়ার পর জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ৭ জুলাই আলবেডো ডুবে যায়। এই নাবিকদের তখন ছিনতাই করা আরেকটি জাহাজ নাহাম-৩ এ তোলা হয়। এরপর থেকে জলদস্যুদের হাতেই আটক ছিলেন আলবেডোর ২২ নাবিক। এদের মধ্যে বাংলাদেশী ছাড়াও ছিলেন সাতজন পাকিস্তানি, ছয়জন শ্রীলঙ্কান, একজন ভারতীয় ও একজন ইরানি।
ছিনতাইয়ের পর জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে তাদের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা শুরু হয় এবং এ লক্ষ্যে মেরিটাইম পাইরেসি অ্যান্ড হিউমেনিটেরিয়ার রেসপন্স প্রোগ্রামের সাথে যোগাযোগ রাখা হয়, আলোচনা হয় মালয়েশিয়া সরকারের সাথেও।
মুক্ত নাবিকরা অন্য কোনো পেশায় যেতে চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে এমপিএইচআরপি’র প্রধান প্রকৌশলী বলেন, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে থাকবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *