সালমার দ্বিতীয় স্বামী সাগরের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীর মামলা, পরোয়ানা

Slider বিনোদন ও মিডিয়া

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এটা পুরনো খবর। নতুন খবর হলো সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর মামলাটি দায়ের করেছেন প্রথম স্ত্রীর মা (শাশুড়ি)।

মামলায় সাগরের বাবা সাখাওয়াত হোসেন এবং মা সুরাইয়াকেও আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‍্যুনাল-১ এই মামলা দায়ের করেছেন সাগরের প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর মা দিলারা খানম।

মামলা নম্বর-২৫৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১ (গ), ১১(গ)/৩০ ধারা।

এ মামলায় সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগর ও তার বাবা-মা কে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম. মাহমুদুর রহমান।
বাদি তার আর্জিতে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরী সাগরের সঙ্গে তার কন্যা তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী)’র সঙ্গে ২০ লাখ টাকা কাবিনমূল্যে বিয়ে হয়। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ‘ল’ এর ছাত্রী তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী) কে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের জন্য সে চাপ দিতে থাকে এবং শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। তার মা দিলারা খানম তিন কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। সে টাকা দিয়ে সানাউল্লাহ নূরী সাগর লন্ডনে বারএট ল পড়ার জন্য ভর্তি হন।
বাদি আরও উল্লেখ করেন, সাগর দেশে এসে কাউকে না জানিয়ে ক্লোজআপ তারকা সালমাকে গোপনে বিয়ে করেন এবং নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেন। কিন্তু মিডিয়ার বদৌলতে এ খবর জানাজানি হয়ে যায়। ১৯৯১ সালের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করা সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগরের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মীর) বাবা কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক এম. আখতার আলম। তিনি কুতুবদিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মা দিলারা খানমও একজন স্কুল শিক্ষিকা।

গত বছর ৩১ ডিসেম্বর সালমা ও সাগরের বিয়ে হয়। এর আগে ২০১১ সালে লালন কন্যা মৌসুমী আক্তার সালমার সঙ্গে শিবলী সাদিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এরপর ২০১৬ শিবলী সাদিকের সঙ্গে সালমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর বাবা অধ্যাপক এম. আখতার আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইতোমধ্যে মামলাটি রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তও হয়েছে। সম্প্রতি ওই মামলার হাজিরার তারিখ ছিল আদালতে। কিন্তু আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়নি। সবকিছু বিবেচনা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় সেদিন।

তিনি আরও বলেন, উল্টো সেই ঘটনার পর আসামিরা আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি রাজধানীর হাজারীবাগ থানায় জিডিও করেছি।

এ বিষয়ে সালমা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিয়ের ইতোমধ্যে কয়েক মাস পার হয়ে গেছে। তাহলে এতোদিন পরে এ খবর আসলো কোথা থেকে। হঠাৎ করে শুনলাম এ মামলার কথা। বিষয়টি সত্যিই কেমন যেন মনে হচ্ছে আমার কাছে।

(বি.দ্র: আদালতের আদেশনামা, গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি ও এম. আখতার আলম এবং সালমার সঙ্গে কথপোকথনের অডিও সংরক্ষিত রয়েছে। )

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *