চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর রহস্যজনক মৃত্যুতে দায়ের করা হত্যা মামলায় আসামি ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ আরমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার দুপুরে নগরের চান্দগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. আরমান হোসেন (২৬) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপুর ছোট ভাই। আরমান একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘দিয়াজ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মোহাম্মদ আরমানকে নগরের চান্দগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে বিকালে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ’
দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেইট সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৪ নভেম্বর আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ বক্তব্য দিলেও শুরু থেকেই তার পরিবার অভিযোগ করে আসছিল, দিয়াজকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর চট্টগ্রাাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। প্রতিবেদনে বলা হয় দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু দিয়াজের পরিবার এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে। আদালতের নির্দেশে দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
পরে ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পায় সিআইডি। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যু আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধজনিত বলে উল্লেখ করা হয়। ২ আগস্ট ময়নাতদন্ত এবং তদন্তের অগ্রবর্তী প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভিকটিম দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে আঘাতপূর্বক শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।