বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Slider সারাদেশ

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিনে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছিয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। আজ টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের নানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জ জেলা ব্রান্ডিং এর লোগোর রেপ্লিকা উপহার হিসেবে গ্রহণ করবেন। এছাড়াও ‘বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, বঙ্গবন্ধুকে লেখা শ্রেষ্ঠ চিঠি পাঠ, সেলাই মেশিন বিতরণ, ‘আমার কথা শোন’-শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন, জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় যোগদান ও প্রধান অতিথির ভাষণ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

এর আগে আজ সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন’। দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী ১৭ই মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিব বর্ষ হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ সব সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বহির্বিভাগে সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দেশের সব হাসপাতালে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করা হবে, শিশু ওয়ার্ডগুলোকে সাজানো হয়েছে, সেইসঙ্গে বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *