টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের স্টাফদের দুর্নীতিতে দুর্ভোগের স্বীকার যাত্রীরা

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস প্রান্ত, বরিশাল বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান ঃ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ২০২ আর নং ৫টা ১৫ মি. এর গাড়ীটি ৫ টা ৪৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া স্টান্ড থেকে ছেড়ে এসে চন্দ্রদীঘলিয়া এসে থেমে যায়। ড্রাইভার পাত ভেঙেগেছে বলে নাটক শুরু করে। এই গাড়ীতে যে সকল যাত্রী উঠেছে তারা অধিকাংশই ঢাকায় গিয়ে অফিস করবে।

তারা উত্তেজিত হয়ে এদিক সেদিক যে যার মত করে কর্তৃপক্ষকে ফোনে জানাচ্ছিল। যে গাড়ীটির পাত ছয়খানা ভেঙে গেছে বলে জানানো হলো সে গাড়ী অর্থাৎ ২০২ নং গাড়ীটির ড্রাইভার যাত্রীদের নিয়ে যেতে অপারগতা জানাল। যাত্রীদের রাস্তায় ঠান্ডার মধ্যে নামিয়ে দিল। একঘন্টা ধরে অপেক্ষা করল যাত্রীরা। ২০২ নং গাড়ীটি যাত্রী নামিয়ে দিয়ে দ্রুত ঘুরে সজোরে চালিয়ে গেল। মনে হয়েছে সে অন্য যাত্রী আনতে যাচ্ছে। কয়েকজন যাত্রী বলছিলেন টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এর এটা এখন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক যাত্রী জানালেন এর আগেও একদিন তিনি এই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছে। তার অভিযোগ এরা যাত্রীদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে এসে কিছুদুর এসে মেশিনারি সমস্যার কথা বলে পথে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে নতুন যাত্রী আনতে যায়। আবার ঢাকাগামী গাড়ী আসলে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ঐ গাড়ী ঘুরিয়ে রাস্তায় একঘন্টা ধরে অপেক্ষা করা যাত্রী নিয়ে পুনরায় মাওয়া অভিমুখে রওনা হয়।

আজকের ঘটনায়ও ঐ একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়েছে। চন্দ্রদীঘলিয়া থেকে গাড়ীটি ভাটিয়াপাড়া পৌছলে আরো কিছু যাত্রী ওঠে সেই গাড়ীতে। তাদের একজনের সাথে কথা হলো। তিনি জানালেন তাদের গাড়ীর নাকি পাতি ভেঙে গেছে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে পাতি ভাঙার কথা বলে বলে বিভিন্ন সময়ের গাড়ীতে টিকিট কেটে যাত্রীদের পথে নামিয়ে দিয়ে এই যে নাটকীয়তা এটা যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলছে কেন গাড়ী স্টাফেরা। আজ আমার টিকিট যখন কাটতে গেছি তখন আমাকে বলল কাউন্টার থেকে আপনার বুকিং দেয়া সীট সাড়ে পাঁচটার গাড়ীতে। আপনি পাঁচটা পনের এর গাড়ীতে যান, সাড়ে পাঁচটার গাড়ী আসতে দেরী হবে। টিকিট কাটতে নাম মোবাইল নাম্বার লাগে কিন্তু আমার কোন তথ্য নিলনা। আমি বলাতে তারা জানালো আপনার নাম মোবাইল দরকার নেই। এই সীট নাম্বার থাকলেই হলো। আমার সকাল সকাল ঢাকা পৌঁছাতে হবে তাই ওদের কথা মেনে নিলাম। আমাকে যে টিকিট দেয়া হলো ওটা মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে। সে গাড়ি মিস করাতে আমার কাছে টিকিট পুনরায় বিক্রি করল। ফলে ওরা লাভবান হলেও মালিকের একটি সীট এর টাকা এলোনা। এভাবে আরো নানা তালবাহানা করে গাড়ী স্টাফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য করে নিজেরা কিছু টাকা ইনকাম এর সুযোগ করে নিচ্ছে। অন্য দিকে মালিক পক্ষের ক্ষতি করে চলছে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই আপনারা সরেজমিনে বিষয়টা তদন্ত করে এর একটা বিহিত করুন। নতুবা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস এর সুনাম অচিরেই দুর্নামে পর্যবশিত হবে। বিষয়টা মোবাইল করে কাউন্টারে জানানো হয়েছে যা কর্তৃপক্ষ আদৌ জানবে কিনা এ বিষয়ে আমি সন্দিহান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *