ফ্রান্সে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

Slider সারাবিশ্ব

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এ উপলক্ষে সকালে দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

এরপর রাষ্ট্রদূত ইউনেস্কো আয়োজিত আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ইউনেস্কোর উপ-মহাপরিচালক (শিক্ষা) এম এস স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি, প্যারিসে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্টদূত জুয়ান আন্দ্রেস পেরেল্লো রদ্রিগেজ ও অর্গানাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ডে লা ফ্রাংকোফোনি এর পরিচালক এমএস ইওমা ফল বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আয়োজনে ইউনেস্কো ঘোষিত থিম ‘ইন্ডিজেনাস ল্যাঙ্গুয়েজেস ম্যাটার ফর ডেভেলপমেন্ট, ‘পিস বিল্ডিং অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন’-এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সেই দেশ যারা ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছে, তাই মাতৃভাষার গুরুত্ব বাংলাদেশের কাছে অপরিসীম।

এরপর রাষ্ট্রদূত প্যারিসের দুটি ভিন্ন স্থানে প্রবাসী কর্তৃক আয়োজিত উদযাপনে অংশগ্রহণ করেন ও অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বিকালে দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলের সদস্যবৃন্দ শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানের এ পর্বে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করে ভাষা শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

এরপর আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে মহান শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর আলোচনা।

ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে অভিভাবকদের নিকট আহ্বান জানান।

এরপর স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে একুশের গান ও কবিতা পরিবেশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *