রাবিতে তাস খেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে পেটাল ছাত্রলীগ

Slider রাজশাহী

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে তাস খেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের ছয় নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২৩৩ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, আটক করে তাদের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও অর্ধ লক্ষাধিক টাকা সমমূল্যের পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতারা।

তবে অভিযুক্তদের দাবি, তাদের কাছ থেকে যা নেওয়া হয়েছিল সবই ফেরত দেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা হলেন, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের রবিউল ইসলাম, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন, ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের উজ্জল হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইশতিয়াক আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাহফুজুর রহমান, গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মো. রাশেদ। তাদেরকে রাতেই থানায় নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রক্টর রবিউল ইসলামের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাঈম আদনান, শাদীদ মুনতাসির এলাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, যুগ্ম সম্পাদক সজল, সাব্বির, সদস্য হিমেল ও মাদার বখশ হল ছাত্রলীগের কর্মী শুভ্র।

জানতে চাইলে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক আব্দুল আলিম বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর আমি হলে গিয়েছি। আটককৃতদের মধ্যে আমার হলের দুজন ছিলো। জুয়া খেলার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

বাকিদের বিষয়টি প্রক্টর দেখবেন। ফোন ও মানিব্যাগের বিষয়টি নিয়েও ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলবো। ’
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জুয়া খেলা অবস্থায় কয়েক জনকে আটক করে হল প্রভোস্টের হাতে তুলে দিয়েছে। তবে ফোন নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে আমি নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলবো। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *