আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের আগামী দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির কার্যালয়ে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে দলের সব বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যেতে এই অাল্টিমেটাম দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এদিকে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণকারী দলের নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ।
কুড়িগ্রাম-৩ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের অভিযোগে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার হয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতি শিউলী। তিনি ওই আসনের জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল হকের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ কিংবা মহাজোটের কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এই সংখ্যা দেড় ডজন হবে না, আরও অনেক কম।
তিনি বলেন, যারা এখনও আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, আমরা তাদের জানাতে চাই- আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সরে দাঁড়াতে হবে। সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে। আমরা আশা করি, এই সময়ের মধ্যে তারা সরে দাঁড়াবেন এবং মাঠে দল ও মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। তা না হলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী নির্বাচনে দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে আওয়ামী লীগ আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানসহ পাঁচ শীর্ষনেতা প্রার্থীদের যোগাযোগ করে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান।
গত ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন। এরপরও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রায় দেড় ডজন আসনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এখনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়ে গেছেন। কয়েকটি স্থানে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতও ঘটেছে।