ইসি সরকারের কথায় চলছে

Slider সারাদেশ


ঢাকা: অবাধ এবং সুষ্ঠু করার ব্যাপারে ইসির ভূমিকা খুব বিতর্কিত বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী। মানবজমিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আশা-নিরাশা দু’টি দিকই আছে। আশার কথা, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, আর নিরাশার কথা- নির্বাচনকে অবাধ এবং সুষ্ঠু করার ব্যপারে ইসির ভূমিকা খুব বিতর্কিত। ইসি সমতল ক্ষেত্র বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছে না। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে মনে হয়, ইসি সরকারের কথায় চলছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সাবেক এই অধ্যপক মনে করেন, সরকার যদি দেশ চালায় এবং সেখানে যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচন কখনো সুষ্ঠু হতে পারে না। তিনি বলেন, যদি একটি হ্যানত্যান নির্বাচন হয় এবং সেই নির্বাচনে সরকারি দল জিতেও তারপরও তারা দেশ চালাতে পারবে না।

প্রখ্যাত এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন পুলিশ যে সকল কা- কারখানা করছে, মামলা-গায়েবি মামলা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি, যাদেরকে পোলিং এজেন্ট করা হবে তাদের খবরাখবর নিচ্ছে, এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছইু করতে পারছে না।
বিরোধীদলগুলোকে হামলা-মামলা ও জেল-জুলুমের মধ্যে রেখেছে। সেখানে কি রকম নির্বাচন হবে? নির্বাচনটা অবাধ এবং সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এতকিছুর পরও আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে বলে মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টতো বলেছে আমরা মাঠ ছাড়বো না। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে তারা বিরোধীদলকে কোনোরকম সুযোগ দিতে প্রস্তুত নয়। যতো রকমভাবে আটকানো যায় সেই চেষ্টা করছে তারা। এজন্য আগামী নির্বাচনটা ইসির জন্য ভীষন একটি চ্যালেঞ্জিং হবে। এখন বিরোধীরা মাঠে গেলে সহিংসতা হবে এবং নির্বাচন বিতর্কিত হবে। বাংলাদেশ একটি সংকটের মুখে পরবে।

জোট-মহাজোটে নির্বাচন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থিতি আনবে কি না এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জোটের নির্বাচনতো অনেক যায়গায় হয়। কিন্তু কথা হলো, দেশে যদি কোনো জনগণের নির্বাচিত সরকার না আসে তাহলে সেই সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সেই সরকার রাজনীতিতে কোনো স্থিতিশীলতা আনতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *