পাকিস্তানকে চাপে রাখতে পাঞ্জাবে বাঁধ গড়ছে ভারত

Slider বিচিত্র

পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এবার নতুন কৌশল নিয়েছে ভারত। কৌশলের অংশ হিসেবে এবার পাকিস্তানের কৃষিখাতকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছে দেশটি।

পাঞ্জাবের ইরাবতী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে প্রতিবেশী দেশটির কৃষিখাতের টুঁটি চেপে ধরতে চায় ভারত।
পশ্চিমের রাজ্য পাঞ্জাবে অবস্থিত ইরাবতী নদী। এই নদীতে বাঁধ দিলে খুব স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়বে পাকিস্তান। কারণ ওই নদীর পানির উপর অনেকটাই নির্ভর করে পাকিস্তানের বিস্তীর্ন এলাকার কৃষিকাজ। ভারত বাঁধ তৈরি করলে প্রবল প্রতিকুলতার মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের কৃষি।

ইরাবতী নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতে। পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে সমতল ভূমি পার করে আরব সাগরে মিশেছে। এই যাত্রাপথের মাঝে পড়েছে আন্তর্জাতিক সীমানা। আর এই নদীর অধিকাংশটিই পড়েছে পাকিস্তানের মাটিতে।

ভারতের পাঞ্জাবের সমতলভূমির উপর দিয়েও বয়ে গেছে ইরাবতী।
গত বৃহস্পতিবার এই ইরাবতী নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ৪৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। ২০০১ সালে এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিল যোজনা কমিশন। সে সময় এই প্রকপের জন্য ২২৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও আর্থিক এবং রাজনৈতিক কারণে এই প্রকল্পের কাজ এগোয়নি।

এই বাঁধ নির্মাণ হয়ে গেলে পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীর কৃষিকাজে বিশেষ সহায়তা পাবে। পাঞ্জাবের পাঁচ হাজার হেক্টর কৃষিজমি এবং জম্মু-কাশ্মীরের ৩২ হাজার হেক্টর কৃষিজমি চলে আসবে সেচের আওতায়। একই সঙ্গে ওই বাঁধের উপর নির্মাণ করা হবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। যার ক্ষমতা ২০৬ মেগাওয়াট।

এই বাঁধ নির্মাণ করলে ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এর কারণে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে ভারতকে। কারণ নদী নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি আছে।

তবে এই বিষয় নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালের ভারত-পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তির নির্দেশিকা মেনেই এই বাঁধ বানানো হচ্ছে। ওই চুক্তি অনুসারে, ভারত ইরাবতী, বিপাশা এবং শতদ্রু নদের পানি নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *