কাপাসিয়ায় চুক্তি ভঙ্গ করায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

মাসুদপারভেজ কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিচু জায়গায় বালি ভরাট করার কাজের ভলগেট ব্যবসায়ী লাল চাঁন মাদবর চুক্তি ভঙ্গ করায় ঠিকাদার সাইফুল আলমের অর্ধ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তের অভিযোগ উঠেছে। নানা অজুহাতে বালি উত্তোলণ না করেই ভলগেট, সরবরাহ পাইপসহ আনুসাঙ্গিক মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাবার পায়তারা করছে।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের বালি ব্যবসায়ী সাইফুল আলম সন্মানিয়া ইউনিয়নের আড়াল দক্ষিনগাঁও এলাকায় কিছু নিচু জমি ভরাট করার কাজ পায়। সেই মোতাবেক বলগেট ব্যবসায়ী বালি উত্তোলণকারী লাল চাঁন মাদবরের সাথে সাইফুল আলম ও মোশারফ হোসেন চুক্তিবদ্ধ হন। গত বছরের ৩০ জুলাই খোলা স্ট্যাম্পে ভলগেট ব্যবসায়ী লাল চাঁন মাদবরকে অগ্রিম বাবদ ১০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। চুক্তি মোতাবেক প্রতিদিন ৫০ হাজার ঘনফুট বালি উত্তোলণের কথা থাকলেও ইঞ্জিন বিকলের অজুহাতে কোন দিনই তা সম্ভব হয়নি। অথচ প্রতিদিনই ভলগেটের মালিক লাল চাঁন যানবাহনের তৈল, লেবারদের খুরাকী ও ইঞ্জিন মেরামত বাবদ প্রয়োজনীয় টাকা গ্রহন করেছেন। বিভিন্ন স্থানে ১ কোটি ঘনফুট বালি উত্তোলন ও সররবাহের কথা থাকলেও প্রায় দেড় বছরে তারা ২১ লাখ ঘনফুট বালি সরবরাহ করেছে।
সম্প্রতি ভলগেট ব্যবসায়ী লাল চাঁন মাদবর বালি সরবরাহ না করে কাপাসিয়া থানায় উল্টো অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শীতলক্ষ্যা নদী তীরে স্থাপনকৃত পাইপ সরিয়ে নিয়ে হিজুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে জমা করছে।
জানতে চাইলে ভলগেটের ইঞ্জিন মিস্ত্রী আব্দুল হক জানান, কাপাসিয়া থানার এএসআই সুমন মিয়ার তত্বাবধানে পাইপ গুলো উঠিয়ে জমা করা হচ্ছে। স্থানীয় কড়িহাতা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লুৎফর রহমান জানান, বালি উত্তোলণ ও সরবরাহকারীদের মাঝে ব্যবসায়ীক হিসাব-নিকাশ নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এএসআই আমার জিম্মায় পাইপ গুলো নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে রাখছে।

এব্যাপারে থানার এএসআই সুমন মিয়া মুঠোফোনে জানান, বালি সরবরাহকারী সাইফুলের নিকট টাকা পাবে দাবী করে ভলগেট ব্যবসায়ী লাল চাঁন মাদবর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাই পাইপ গুলো উঠিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফরের জিম্মায় রাখা হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বালি সরবরাহকারী সাইফুল আলম জানান, ভলগেট ব্যবসায়ীর সাথে চুক্তি এবং বালি সরবরাহের পরিমান অনুযায়ী প্রায় ৫০ লাখ টাকা পাওনা আছি। বার বার তাগাদা দেয়া সত্যেও ব্যবসায়ীক হিসাব শেষ না করে তালবাহানা করছে। এক পর্যায়ে সে থানা পুলিশের সহযোগিতায় অসৎ উদ্দেশ্যে গত এক সপ্তাহ যাবত পাইপ উত্তোলণ করে ইঞ্জিন নিয়ে এলাকা থেকে চলে যাবার পায়তারা করছে। সে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে পায়নি বলে দাবী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *