নড়াইলে বিভিন্ন দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল!

Slider খুলনা


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: আজ বুধবার নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপর ১টার দিকে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাসচন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিদ্দিক আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচীন কুমার চক্রবর্তী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম নবী। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাসচন্দ্র বোস বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নড়াইল-২ আসনে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমরা জেলা আওয়ামী লীগসহ শরিক দল মিলেমিশে নৌকা প্রতীকে মাশরাফিকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করব। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেনতায় বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কায় ভোট দানের আহ্বান জানান। এ ছাড়া জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কালিয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত শরিক দল জাসদের শরীফ নূরুল আম্বিয়া, নড়াইল-২ আসনে বিএনপি সমর্থিত শরীফ কাসাফুদ্দোজা কাফী, নড়াইল-১ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়া কালিয়ায় সহকারী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি ও বিএনপি মনোনীত জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। মনোনয়নপত্র জমা দানকালে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় চত্বরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিজেকে ক্রিকেটের ক্যানভাসে সীমাবদ্ধ রাখেননি ধান বীজ নিয়ে নড়াইলের কৃষকদের পাশে মাশরাফি
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (১০ নভেম্বর) ২৭৪: নডাইলের মাশরাফি মাঠের তারকা। ২২ গজেই যার আসল লড়াই। বাংলাদেশকে নের্তৃত্ব দেন। বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। সাফল্যে করেন উজ্জীবিত। কিন্তু ক্রিকেটের ক্যানভাসে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি নড়াইল এক্সপ্রেস। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, ধান বীজ নিয়ে নড়াইলের কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। জন্মভূমি নড়াইলের প্রতি মাশরাফির দায়বদ্ধতা অনেক। তাই কিনা এক বছর আগে শুরু করেছিলেন সামাজিক কর্মকান্ড। খেলাধুলা, স্বাস্থ্য বা পরিবেশ। কাজ করে যাচ্ছে তার ফাউন্ডেশন। এবার তিনি পাশে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকদের। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট এর সহযোগিতায় ১ হাজার কৃষককে দেয়া হবে ধান বীজ। মাশরাফি বলেন, ‘সবাইকে দিতে পারবো না। তবে আমরা বেছে নিয়েছি যারা একেবারে গরীব কেনার সামর্থ্য নেই তাদের দেয়া হবে।’ মাশরাফি মাঠের যোদ্ধা। লড়াই করে ছিনিয়ে এনেছেন অসংখ্য জয়। কিন্তু মাশরাফির কাছে আসল যোদ্ধাতো মাঠের কৃষকরা। মাশরাফি ফলেন, ‘কৃষকেরা যেভাবে দিন রাত ঝড় বৃষ্টিতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে সহযোগিতা করতে যাচ্ছি যাতে অন্য জেলার যারা ধনী আছেন তাদের মধ্যেও এই উৎসাহটা জাগে।’মাশরাফির গন্ডি কখনো সীমাবদ্ধ নয়। তবে জন্মভূমি নড়াইলের প্রতি আলাদা টান থাকাটাই স্বাভাবিক। বললেন, তার মতো প্রতিটি জেলায় অন্যরাও যদি পাশে দাঁড়ায় দরিদ্র মানুষের। তবেই স্বার্থক হবে তার উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট ও মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। মাশরাফি বলেন, কৃষকরা দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই দায়বদ্ধতা থেকে তিনি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। নড়াইলের মতো দেশের সব জেলায় কাউকে না কাউকে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন মাশরাফি।### ছবি সংযুক্ত

নড়াইল-১ আসন মহাজোটে একাধিক নতুন তৎপরতা!
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: আজ (১০ নভেম্বর) ২৭৪: জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ভোটার দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৯ হাজার ১১৩ এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ জন। কালিয়া পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটি ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, এ আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দু’বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বিজয়ী হন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। এ দিকে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটারসহ নড়াইল-১ আসনের সাধারণ মানুষ। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নতুন মুখের তৎপরতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী সরোয়ার হোসেন এবং গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমীন। এ দিকে, এবারোদলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হয়ে চান তিনি। এ ছাড়া, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, অবসরপ্রাপ্ত লে. কমান্ডার ওমর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোল্যা এমদাদুল হক ও শাহীদুল ইসলাম শাহী, কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বি এম ইকরামুল হক টুকু, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: আব্দুল মান্নান, নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুল হক, প্রকৌশলী শেখ মিজানুর রহমানসহ আরো কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ দিকে, মহাজোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেনÑ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মিল্টন মোল্যা, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জাসদের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও জাসদের (ইনু) আরেক অংশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বি এম আখতার হোসেন রাঙ্গা। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন অন্তত ছয় প্রার্থী। এরা হলেনÑ জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও ঢাকার হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা: শফিকুল হায়দার পারভেজ, খুলনা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তজা, নড়াইল-১ আসনের বিএনপির সাবেক এমপি মরহুম ধীরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে সুকেশ সাহা আনন্দ, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সৈয়দ ফারুক আশীক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সহসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বি এম সুলতান মাহমুদ। তবে শরিকদলে কোনো প্রার্থীর তৎপরতা দেখা যায়নি। এ ছাড়া, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ খবির উদ্দীন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচারপত্র টানিয়েছেন শিকদার শাহাদৎ হোসেন দুলু নামে এক প্রার্থী। আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি বলেন, দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। দুইবারের এমপি হিসেবে এলাকায় একাধিক সড়ক, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের সেই ধারাবাহিকতায় ভোটারসহ সাধারণ মানুষ আমার সাথে আছেন। এ ছাড়াও দুইবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। কালিয়া পৌরসভা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীতকরণ ও পৌরভবন নির্মাণ, কালিয়া থানা ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মধুমতি ও নবগঙ্গা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ, কয়েকটি খাল পুনঃখনন এবং শতকরা ৯০ ভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। নড়াইল-ফুলতলা সড়ক ও কালিয়া-নড়াইল সড়ক একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাথে আমার পরিবারের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। রাজনীতির জন্য আমার বাবা ও ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি বলেন, নড়াইল-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। এ লক্ষ্যে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী। নড়াইল-১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী কাজী সরোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, মতবিনিময়, সভা-সমাবেশসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন এলাকার মাদরাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করেছি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। গণসংযোগকালে ভোটারসহ এলাকাবাসীর ভালো সাড়া পাচ্ছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো, ইনশা আল্লাহ। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা, মানবসেবা, প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উন্নয়নসহ নড়াইল-১ আসনের সার্বিক উন্নয়ন করব। ব্যক্তিগতভাবে উন্নয়নের পাশাপাশি ‘জনপ্রতিনিধি’ হয়েও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে অবদান রাখতে চাই। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন মানবসেবা করে যাবো। মুফতি রুহুল আমীন বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে বিজয়ী হব, ইনশা আল্লাহ। এলাকায় সব ধরনের উন্নয়ন করব। এছাড়া মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলব, শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের খাদেম হিসেবে নির্বাচিত করবেন। জনগণের খেদমত করতে পারা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। আমার বাবা শামছুল হক ফরিদপুরী জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। নড়াইলের সাথে আমারও আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় জনগণের আরো খেদমত করতে চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছি। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছি। আশা করছি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আওয়ামী লীগ নেতা ওমর আলী বলেন, তৃণমূল মানুষের পাশে থাকার জন্যই এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরে সহযোগিতাসহ অসহায় মানুষের পাশে আছি। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী আমি। জাপা নেতা অশোক কুমার ঘোষ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করে ১৯৮০ সালে বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি নির্বাচিত হয়েছি। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও মহাজোটের কারণে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। আশা করি, এবার মহাজোট থেকে মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো। জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নড়াইল-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে রাজনীতি করছি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাই আমাদের দাবি, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা বিজয়ী হবো। ডা: শফিকুল হায়দার পারভেজ বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলে অবহেলিত কালিয়া তথা জেলার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করব। সৈয়দ ফারুক আশিক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনসহ দলীয় কর্মকা-ে অবদান রেখে আসছি। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার রাজনীতিসহ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের কল্যাণই আমার রাজনীতির আদর্শ। দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হয়ে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। সাহারুজ্জামান মোর্তজা বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সুকেশ সাহা আনন্দ বলেন, প্রায় ১১ বছর কালিয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি থাকায় তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছাকাছি থাকার সুযোগ পেয়েছি। দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে পাশে থাকায় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। অ্যাডভোকেট বি এম সুলতান মাহমুদ বলেন, নেতাকর্মীদের সুখে-দু:খে পাশে আছি। বিনা পারিশ্রমিকে আদালতে নেতাকর্মীদের মামলা পরিচালনা করে আসছি। এ দিকে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশাÑ এ আসনে সৎ, যোগ্য, উন্নয়নকামী প্রার্থী মনোনয়ন দিলে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর সবার সাথে সম্পর্ক অটুট থাকবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভোটাররা। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল-১ আসনে ভোটার দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৯ হাজার ১১৩ এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৮ জন। কালিয়া পৌরসভা, ১৪টি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার কলোড়া, বিছালী, সিঙ্গাশোলপুর, সেখহাটি ও ভদ্রবিলা ইউনিয়ন নিয়ে নড়াইল-১ আসন গঠিত। বিগত নির্বাচনগুলোর ফলাফলে দেখা গেছে, এ আসনে পাঁচবার আওয়ামী লীগ, দু’বার করে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবং একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বিজয়ী হন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দশম সংসদ নির্বাচনে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং নবম সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে মহাজোটের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন। এ দিকে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, সেটাই দেখার অপেক্ষায় আছেন ভোটারসহ নড়াইল-১ আসনের সাধারণ মানুষ।### ছবি সংযুক্ত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *