হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট : তামাক চাষের জন্যই পরিচিত লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা!কিন্তু সে এলাকার চিত্র এখন বদলাতে শুরু করেছে।
মাত্র দুই বছর আগে আদিতমারী উপজেলার তালুক দূলালী গ্রামে ৬ একর জমি লিজ নিয়ে চা-চাষ শুরু করেছে জামাল উদ্দিন নামে এক ব্যাক্তি। তিনি চা চাষ করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।
অল্প সময়ে ব্যাপক লাভবান হন জামাল উদ্দিন সরকার।ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন সমতল ভূমিতে চা-চাষ করে এখন পরিণত হয়েছে রোল মডেলে।জামাল উদ্দিন জানায়,তামাকের পরিবর্তে চা-চাষ করি ক্যান্সার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি!এই স্লোগান কে সামনে রেখে আমি চা-চাষ করতেছি।চা-চাষ জামাল উদ্দিনের স্বপ্ন।
জামাল উদ্দিন চা-চাষকে অন্তরের ভেতর থেকে প্রত্যাশা করে!তিনি জানান,সকল কৃষক তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে চা-চাষের দিকে আসবে এটা প্রত্যাশা করি।এই অঞ্চলের মানুষ একসময় টোবাকো ছেডে দিয়ে চা চাষের দিকে আসবে এবং চা বাজারজাত প্রক্রিয়া করণ করবে।
জামাল উদ্দিনের চা-বাগানে কাজের সুজগ পাচ্ছে এলাকার শ্রমিক ও শিক্ষিত বেকার যুবকেরা।আর তাকে দেখে তামাক ছেড়ে চা চাষ করছে স্থানীয় চাষিরা।
জামাল উদ্দিনের চায়ের বাগানের শ্রমিক বুলু মিয়া জানায়,আমি এই বাগানের চা চাষ করা বিষয়ে শিখতেছি পরবর্তীতে আমারো চা-চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাটি পরিক্ষা করে যাচ্ছি কোথায় ভালো হবে চা-চাষ।
সমতল ভূমিতে চা-চাষের পরামর্শ দিয়ে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ টি বোর্ডের কর্মকর্তারা। তামাকের পরিবর্তে অর্থকরী ফসল হিসাবে চা-চাষের বিস্তারে জেলার কৃষি ও অর্থনীতিরও উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করে এলাকাবাসীরা।
জামাল উদ্দিন আরো জানায়,একজন বেকার যুবক যদি চা-চাষ করে তাকে চাকুরীর পিছনে ঘুরতে হবে না এটার মাধ্যেমেই ৬০ বছর আয় করতে পারবে কিন্তু সঠিক ভাবে পরিচর্জা করতে হবে।আমার ভবিষ্যতে চা চাষকে নিয়ে বড় ধরনের স্বপ্ন আছে!এটাকে আমি ছাড়তেছি না।এভাবেই চালিয়ে যাবো চা চাষ প্রক্রিয়া।