হ্যাটট্রিক বিজয়ের লক্ষ্যে কালীগঞ্জ আসনে চুমকিকে দলীয় মনোনয়ন

Slider বাংলার সুখবর


মো. সাজ্জাত হোসেন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি: কর্মঠ, সততা আর বিশ্বস্ততার প্রতিদান হিসেবে তিনবারের মতো কালীগঞ্জ সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মেহের আফরোজ চুমকি। কালীগঞ্জের ইতিহাসে সংসদীয় নির্বাচনে যারাই এমপি নির্বাচিত হয়েছে প্রতিটি দপ্তরে তাদের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে উন্নয়নের নেত্রী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছেন তিনি। বিশৃংখলা মনোভাব পরিহার করে সবার মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্টা করতে তিনি এমপি হওয়ার পর থেকে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত করায় দলমত নির্বিশে সবায় তাকে শান্তি কন্যা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। দায়িত্ব ও কর্ম দক্ষতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া দায়িত্ব যোগ্যতার সাথে কাজ করে তার মন্ত্রণালয় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে প্রশংসিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই কর্মঠ আস্থাভাজন মেহের আফরোজ চুমকিকে হ্যাটট্রিক বিজয়ের লক্ষ্যে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় তৃনমূল নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারনের মাঝে উৎফুল্ল ও স্বস্তি বিরাজ করছে।

দলীয় নেতৃবৃন্দরা জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন কালীগঞ্জের মাটি ও মানুষের প্রিয় মানুষ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অন্যতম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ময়েজউদ্দিনের সুযোগ্য কন্যা মেহের আফরোজ চুমকি গাজীপুর-৫ কালীগঞ্জ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়ে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কালীগঞ্জের ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। কালীগঞ্জ আসনের এমপি এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়। আগামী নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ায় হ্যাটট্রিক জয়ের আশায় তার দলীয় নেতাকর্র্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। সভা-সেমিনা ও উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ জনগনের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। বিগত সরকারের আমলে কালীগঞ্জে মারামারি, সহিংসতা থাকলেও তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। সেই জন্য এলাকার মানুষ তাকে শান্তিকন্যা উপাধিতে ভূষিত করেছেন। শক্ত হাতে দলীয় কর্মকাÐ করার পাশাপাশি দেশের ও সমাজের মানুষের জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশেষ ভূমিকা ও অবদান রাখায় জাতিসংঘের সম্মানসূচক পুরস্কার অর্জন করেছেন।

নারীর কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়নে কালীগঞ্জে কর্মজীবী নারীদের সন্তানের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, দুঃস্থ নারীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। নারীদের আত্মনির্ভরশীল ও আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নোয়াপাড়ায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ করেছেন। কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়ায় ১৭ কোটি ২০ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬ তলা ফাউন্ডেশনের উপর ৬ তলা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল ও শিশু দিবাযতœ কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজ করেছেন । হোস্টেলে ১৩০ জন বোর্ডার আবাসিক সুবিধা পাবেন । একই ভবনে ২০ জন শিশুর জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থাও রয়েছে। গাজীপুর-মোক্তারপুর-চরসিন্দুর-ইটাখোলা বাইপাসের কাজ সম্পন্ন করে যোগাযোগের পথ প্রশস্ত করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌর ও ওয়ার্ড পর্যায় দক্ষতার সাথে কমিটি গঠন করে সুশৃঙ্খলভাবে দলের কাজ করতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। তিনি শুধু কালীগঞ্জে নয় তার নির্বাচনী এলাকা পূবাইল ও বাড়িয়া ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নের স্বাক্ষর রয়েছেন। পাশাপাশি সেইসব এলাকায় দলীয় নেতৃবৃন্দ তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিগত সরকারের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানান।

তার সমর্থকরা জানান, প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর অতি ব্যস্ততার পরও তিনি মাসে ১৪-১৫ দিন তার নির্বাচনী এলাকায় এসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ চালিয়েছেন। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগনকে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী। দুই মেয়াদের এমপি চুমকি তার নির্বাচনী এলাকায় এশিয়ার বৃহত্তম মসলিন কটন মিলটি নতুনরুপে দেশের সেরা পোষাক শিল্প হা-মীম গ্রæপের মাধ্যমে মিলটি চালু এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া কালীগঞ্জের মুলগাঁও ও মোক্তারপুরে প্রাণ গ্রæপ শিল্প প্রতিষ্ঠান, নাভানা প্লাষ্টিক ফ্যাক্টরি, বিদেশী চায়নার তত্ত¡াবধায়নে পরিচালিত খলাপাড়া এলাকায় এবিএল পোষাক শিল্পসহ ছোট-বড় ১৫-২০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা স্থাপনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
তাছাড়া কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজকে সরকারিকরণ, আড়িখোলা রেলস্টেশনের অবকাঠামোমূলক উন্নয়ন, কালীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদকে পৌরসভায় উন্নতিকরণ, কালীগঞ্জের সাথে ঢাকার যোগাযোগের সম্প্রসারের জন্য বালু নদীর ওপর তেরমুখ ব্রিজ নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, পয়ঃনিষ্কাশন ও সংস্কার, বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির,শশ্মানঘাট, স্কুল, কলেজ, ক্রীড়া সংগঠনসহ সমাজ কল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজে তিনি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। প্রায় ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চার তলা বিশিষ্ট কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্রা নির্মিত হয়েছে। তাই এলাকায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত এবং শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে এ আসনে আবারও মেহের আফরোজ চুমকিকেই দলীয় প্রার্থী দেয়ায় নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারন জনগন খুবই আনন্দিত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তরুণ-তরুণী ও নারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে রয়েছেন। এ সবকিছু মিলিয়ে এ আসনে চুমকির কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতা, যোগ্যতা ও সততার মাধ্যমে এরই মধ্যে সর্বমহলে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন মেহের আফরোজ চুমকি।

১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদ বিভাগে অনার্সসহ মাস্টার্স পাস করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। তিনি ১৯৯৫ সালে রমনা থানার ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে গাজীপুর ও নরসিংদী জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মহিলা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫(কালীগঞ্জ) থেকে মেহের আফরোজ চুমকি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই আসনে এতো ভোট ব্যবধানে বিএনপিকে হারিয়ে কোনো আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনি, যা পেরেছেন মেহের আফরোজ চুমকি। ওই নির্বাচিত সরকারের শেষের দিকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। কর্মদক্ষতার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে দলীয় সুনাম অর্জন করতে থাকেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তার বলিষ্ঠ দায়িত্বশীলের জন্য তিনি পুনরায় একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

মেহের আফরোজ চুমকি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২০৯ কিলোমিটার পল্লী সড়ক নির্মাণ করেন এবং বর্তমানে ৩২ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৩২০ কিলোমিটার পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টঙ্গী-কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল ২৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করেছেন। মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য ১৭.২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্মজীবি মহিলা হোস্টেল ও শিশু দিবাযত্ম কেন্দ্রের নির্মাণ করেছেন। ১৩.০১ কোটি ব্যয়ে শহীদ ময়েজউদ্দিন আবাসিক মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলায় ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৪৩৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৯টি সেতু/কালভার্ট নির্মাণ করেন এবং ৪৫ মিটার সেতু/ কালভার্টের নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে।

গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্প খাতে প্রায় ২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্প খাতে ২৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, ব্রিজ ও কালভার্ট প্রকল্প খাতে প্রায় ৬৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২৯৫৭ মেট্রিক টন চাল ও জিআর প্রকল্প খাতে ৭৭.০৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। গার্মেন্টস ও কারখানার নারী শ্রমিকদের ১-৬বছরের সন্তানদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার কর্মসূচি চালু হয়েছে। দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় ২২১২ জনকে প্রায় ২ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা ভাতা বিতরণ করেছেন। কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা প্রদান কর্মসূচির আওতায় ৬৫০ জনকে ৫৭ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। স্বপ্ন প্যাকেজ কর্মসূচির আওতায় ৮৪ টি পরিবারকে ৪০ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা বিতরণ করেন। আইসিভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ৯৪২ জনকে ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়। মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ৩৫৩ জনকে ৪৮ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করেন। নিবন্ধিত ৩৩টি মহিলা সমিতিকে ১১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন মেহের আফরোজ চুমকি এমপি।

শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং মানসম্মত পরিবেশ গঠনে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৯টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রসারণ, ১টি উপজেলা রিসোর্স সেন্টার নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন। ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৯টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

৩৭টি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১১টি আনন্দ স্কুল স্থাপন করা হয় এবং ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬টি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ২৩ টি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ হাজার ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে উপকরণ বিতরণ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৭ টি ল্যাপটপ, ৫২ টি প্রজেক্টর, ৯টি পিয়ানো বিতরণ করা হয়েছে। ২৬৬ জনকে রাজস্বভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। ৫৮.৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ টি ওয়াশবøক, ১.৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২১ টি সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ¯œাতক পর্যন্ত ৪১ হাজার ৯শত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৪ শত ৯০ টাকা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৮৪০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বয়স্কর নারী-পুরুষ, বিধবা নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক অনুদান প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ৪.০১৭ কোটি টাকা বয়স্ক ভাতা, ০.৯৬৩৬ প্রায় কোটি টাকা বিধবা ভাতা এবং ১.২১৭১৬ কোটি টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা মহিলা সংস্থার মাধ্যমে ১৩৬০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ভাতা বাবদ ৫৯.০৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। তিনি কালীগঞ্জে মৎস্য খাতেও ব্যাপক উন্নয়নের ধারা রেখে তিনি ১০ লাখ ১ হাজার ৫শত ৬৪ টাকা ব্যয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে, মৎস্য উৎপাদন ২৭১৫ মেট্রিক টন থেকে ৮৭৬৯.৭৮ মেট্রিক টন এ উন্নতিকরণ; যা ২০০৯ সালের তুলনায় ২২৩% বৃদ্ধিকরণ চাহিদার তুলনায় অধিক। ১৩৭৯ জন নিবন্ধিত জেলেকে জেলে কার্ড বিতরণ করা হয়। ২০০৯-১৭ সাল পর্যন্ত ৭ লক্ষ ২শত ৯৫ টাকা ব্যয়ে ৮২৬ জনকে মৎস্য বিষয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং ৪৫ জনকে ১৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মৎস্য ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ১১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩টি জলাশয় পুনঃখনন করা এবং ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রদর্শণী খামার স্থাপন করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত জেলে পরিবারকে অনুদান প্রদান করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রাকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নতিকরণ। পাশাপাশি গাজীপুর জেলায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রাকে মডেল হাসপাতালে রুপান্তর করা হয়। নাগরীতে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ৩১টি। সিআরভিএস পাইলটিং প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৫ দিনের মধ্যে সকল জন্ম ও মৃত্যুর অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন নিশ্চিতকরণ করা হয়েছে। সকল মৃত্যুর ভারবাল অটোপসি ( মৌখিক তদন্ত) করা হয়। ২০০৯-২০১৭ সালে বর্হিবিভাগ রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫০%, ভর্তি রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৬% এবং কমিউনিটি ক্লিনিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৭৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য মানুষ নিরাপদে শীতলক্ষ্যা নদী পারাপারের সুবিধায় ২ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪শত ৫টাকা ব্যয়ে দেওপাড়ায় শহীদ ময়েজউদ্দি ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা ভূমি অফিস, কালীগঞ্জ পৌর ভূমি অফিস ও জামালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস তিনটি ভূমি ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণ প্রস্তাব অনমোদিত হয়েছে বলে জানা যায়। কালীগঞ্জ পৌরসভার দেওপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যার সন্নিকেটে ফায়ার সার্ভিস স্থাপন করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, জাতির পিতার কন্যা কখনও ভুলে যাননি, দুঃসময়ে কারা তার পাশে ছিলেন। তাদের মধ্যে আমার বাবা ময়েজউদ্দিন অন্যতম, তিনি এটা জানতেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তিনি আমার মাকে পার্লামেন্টে এমপি হওয়ার প্রস্তাব করেন। এই বয়সে এতো বড় গুরুদায়িত্ব পালন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না বলে তিনি সবিনয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। মায়ের এই অপারগতার কারণে আমাকে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে ৯৬ সালে বসার সুযোগ করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি মনে করি, বাবার যে দেশপ্রেম ছিল তারই পুরস্কার আমি পেয়েছি। সেই ‘৯৬ থেকে ২০১৮- রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ ২২টি বছর পার করলাম। আমার আরও সৌভাগ্য যে, আমার বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো আমার সময়ে এসে সম্পন্ন করতে পারছি। ছয়তলা ট্রেনিং সেন্টার করেছি, সেখানে মেয়েরা বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বাবার মৃত্যুর ৩৪ বছর পর এই ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। এ কথা ভেবে আমাকে বারবার আপ্লুত করে যে, বাবার একান্ত ইচ্ছাগুলো আমার মাধ্যম দিয়ে পূরণ করার সুযোগ পাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, এখান থেকে পিছিয়ে পড়া নারী, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করতে পেরেছি। এসব মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয়। অন্তত ভালো কিছু করার চেষ্টা তো করতে পারছি। বাবা বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকে সারাজীবন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশ^স্ততার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার পরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়েও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। আমি আবার বলব, বিশ^স্ততার পুরস্কার মানুষ এক সময় না একসময় নিশ্চয় পায়। তাই প্রত্যেকের উচিত, যেখানে আছে, সেখান থেকে বিশ^স্ততার পরিচয় দিতে হবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যার পাশে থেকে যেন ভালো কিছু কাজ করে যেতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *