ঢাকা: রাজধানীর আরামবাগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির বৈঠক। ছবি: প্রথম আলোবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, নির্বাচনী আচরণবিধির ব্যাপারে ইসি সরকারি দলের ক্ষেত্রে নির্বিকার থাকলেও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইসি ২০ শতাংশও নিরপেক্ষ নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম অফিসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে সমন্বয় কমিটির এক বৈঠকে সাংবাদিকদের বরকতউল্লা বুলু এ কথা বলেন। বুলু বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে বলতে চাই যে নির্বাচন কমিশন এখনো ২০ শতাংশও নিরপেক্ষ হতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন ভৈরবে জনসভা করছেন অভিযোগ করে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘এটা তো নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এখানে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। কিন্তু এমন কোনো দিন বা রাত নেই যেখানে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’ তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বকর আবুকে হত্যা করা হয়েছে। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জামিনের আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বুলু এসব গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দী যাঁরা নির্বাচন করতে চান, তাঁদের সবার মুক্তি দাবি করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৯০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। এ বিষয়ে বুলু বলেন, ঐক্যফ্রন্ট থেকে দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন বলেছে, গণহারে বদলি করা যাবে না। ইসিও বলেছে তারা কোনো বদলি করবে না। তবে সমন্বয় কমিটি আশা করে, ইসি সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে। বদলির তালিকা বাস্তবায়ন করবে। এ ছাড়া ইভিএম ব্যবহার না করার জোর দাবিও জানায় এ কমিটি।
আজকের বৈঠকে প্রতি জেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানানো হয়। সেখানে ঐক্যফ্রন্টের সব দলের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি হবে।