আ.লীগ আমলের অর্থমন্ত্রীর ছেলে ঐক্যফ্রন্টে

Slider সিলেট


হবিগঞ্জ: সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে চান। তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে প্রার্থী হতে গণফোরামে যোগ দিয়েছেন।

শাহ এ এম এস কিবরিয়া ২০০১ সালে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জসদর-লাখাই) আসনের সাংসদ ছিলেন।

আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছেড়ে তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কেন হলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রেজা কিবরিয়া আজ শনিবার বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১০ বছর ধরে যেভাবে দেশ পরিচালনা করছে, তার সঙ্গে তিনি একমত নন। তাঁর আদর্শের সঙ্গে মিল নেই। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা যে আদর্শ লালন করতেন, আওয়ামী লীগ এখন সেই জায়গায় নেই।’

অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া জানান, তাঁর বাবাকে ২০০৫ সালে হত্যার পর বিএনপির সরকারের সময় এবং পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিচার করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের ১০ বছরেও এ মামলার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।

রেজা আরও কিবরিয়া বলেন, ‘কী কারণে আওয়ামী লীগ সরকার উদ্যোগ নেয়নি, তা দেশের মানুষ আন্দাজ করতে পারছেন। মামলার আংশিক তদন্তকাজ করে তারা আমাদের জোর করে এ তদন্ত মেনে নেওয়ানোর চেষ্টা করে। এমনকি মামলার বাদী সাংসদ আবদুল মজিদ খান আমার মাকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, এ তদন্তই মেনে নিতে হবে। তিনি আমার মাকে এ ধমক দেওয়ার সাহস কোথা থেকে পান?’ রেজা কিবরিয়া দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এবার দেশের মানুষ বলুক, আওয়ামী লীগের প্রতি আমার আনুগত্য থাকা উচিত কি না?’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, গণফোরামের সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তিনি হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে নির্বাচন করবেন।

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, ‘আমার বাবার স্বপ্ন ছিল হবিগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করার। আমি সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবায়ন করতে চাই। কারণ, এলাকাটি অবহেলিত একটি জনপদ। এলাকার মানুষের জীবনমানে গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। এখানের মানুষ চায় না রুগ্‌ণ কোনো চেহারা বারবার আসুক।’

রেজা কিবরিয়া বলেন, তিনি ও তাঁর বাবা জাতিসংঘে কাজ করেছেন। তবে দেশের জন্য তাঁদের অন্য রকম ভালোবাসার টানে দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও স্থায়ী হননি। তিনি সাংসদ হলে নবীগঞ্জ-বাহুবল এলাকাকে দেশের অন্যতম এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *