পাহাড়ে মিষ্টি কুমড়া চাষে সাফল্য

Slider গ্রাম বাংলা

পাহাড়ের নানাবিধ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আর খেতে সুস্বাদু সবজি মিষ্টি কুমড়া। হালকা মিষ্টি স্বাদের মিষ্টি কুমড়া সবজিটি সারাবছর জুড়ে পাওয়া যায়।

চলতি বছর পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জুম পাহাড়ে এই মিষ্টি কুমড়ার ফলন ভালো হয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাজারজাত করণের সহজ উপায়, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বড় আড়ৎদারদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক না থাকায় মধ্যস্বত্ববভোগীরা সুযোগ নিচ্ছে।
বান্দরবান কৃষি বিভাগের মতে, বান্দরবান জেলা সদরসহ ৭টি উপজেলায় চলতি বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। গতবারের তুলনায় এবছর চাষ বেড়েছে ৫০ হেক্টর জমি। আর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দেড় হাজার মেট্টিক টনের মত। এ মৌসুমে ২শ ৪৮ হেক্টর জমিতে ৯হাজার মেট্রিকটন কুমড়ার ফলন হয়েছে। ব্যাপক ফলন হলেও উৎপাদন খরচের তুলনায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে লাভের চাইতে ক্ষতিই গুণতে হচ্ছে এসব পাহাড়ি কৃষকদের।

সদর উপজেলার টংকাবর্তী ইউনিয়নের চাষী মেনথং স্ন্রো ও থনলক স্ন্রো হতাশার প্রকাশ করে বলেন, টংকাবর্তী, মাঝের পাড়া, সূয়ালক, চিম্বুকসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে জুমে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে এবছরও।

ভালো ফলন হওয়ার পরও নায্যমূল্য পাচ্ছেনা তারা। লোকসান কমাতে বাধ্য হয়ে তারা ব্যবসায়ীদের কেজি ৭ থেকে ৮ টাকায় এবং মণ ৩শ টাকায় বিক্রি করছে।
স্থানীয় শিক্ষক রেংরুই স্ন্রো বলেন, পাহাড়ে জুম চাষে উৎপাদিত পুষ্টিকর মিষ্টি কুমড়া চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশেও যাচ্ছে। কিন্তু মধ্যস্বত্ব ব্যবসায়ীর দ্বিগুন মুনাফা লাভ করার কারণে নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বহু কৃষকেরা। শ্রমিকের মজুরীর টাকা না উঠায় অনেক চাষী ক্ষেতের মিষ্টি কুমড়া বিক্রির জন্য বাজারেই তুলেনি। রাস্তার দুপাশে জুম ক্ষেত গুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, বান্দরবানের পাহাড়ে মিষ্টি কুমড়ার চাষ বাড়ছে দিন দিন। দুটি মৌসুমেই এখানে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদিত হচ্ছে। বলতে গেলে সারাবছরই এ অঞ্চলে বাজারে মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যায়। তবে অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এখনো অনেক এলাকার চাষীরা উৎপাদিত সবজি সরাসরি বাজারে বিক্রি করতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটা আমরা জানি। তবে সমস্যা থেকে উত্তোরণে চাষীদের কৃষক সংগঠন করে নিজেরাই নিজেদের পণ্য বাজারজাত করণ করতে আমরা বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *