স্যানিটারি ন্যাপকিন দেখতে ছাত্রীদের পোশাক খুলে তল্লাশি, তোলপাড়

Slider নারী ও শিশু

ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড যথাযথভাবে নষ্ট করার বিষয়ে ছাত্রীদের সচেতন করার পরিবর্তে তাদের পরণের পোশাক খুলে দেখাতে বললো শিক্ষিকারাই! মারাত্মক এই অভিযোগ উঠেছে ভারতের পাঞ্জাবের ফজলিকা জেলার কুন্ডাল গ্রামের একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে। শিক্ষকদের এই কাণ্ড সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে।

জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ অক্টোবর। ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছয় ছাত্রী অভিযোগ করেন যে, স্কুলের শৌচাগারে ব্যবহৃত স্যানিটারি প্যাড পড়ে থাকতে দেখেই স্কুলশিক্ষিকা জানতে চান কে কে ওই ন্যাপকিন ডাস্টবিনে না ফেলে শৌচাগারে ফেলেছে। এরপরই ওই ৬ ছাত্রীকে স্কুলের একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সিনিয়র ছাত্রীদের (সপ্তম ও অষ্টম) সামনেই জামা খুলে কার কার ঋতুস্রাব চলছে তা দেখাতে বাধ্য করেন। ওই ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্যও করেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। অভিযোগ ওঠে স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ কুলদীপ কাউর এবং জ্যোতি নামে অন্য এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধেও।

ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্যের শিক্ষা বিভাগে সচিব কৃষ্ণণ কুমারকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। আগামী সোমবারের মধ্যেই তার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকাকেও অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছে।

যদিও কুলদীপ কাউর সাংবাদিকদের জানান, তিনি এই ঘটনার বিন্দু বিসর্গ জানেন না। যদিও অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তিতে সন্তুষ্ট নন। এই ঘটনায় দোষীদের বিচার দাবিতে অভিভাবকরাও স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় মহুকুমার শাসকের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

অবোহার মহুকুমার শাসক পুনম সিং জানান, ‘ছয় ছাত্রী অভিযোগ করেছে যে তাদের সিনিয়র ছাত্রীদের সামনে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয় এবং কে কে ন্যাপকিন ব্যবহার করেছে শিক্ষিকা তাও দেখার চেষ্টা করেন। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে। শিক্ষিকাদের বক্তব্য নিয়ে আগামী সোমবার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা হবে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *