মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার সকাল ৮টায় রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাষ্ট্রপতি শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন।
এরপর ৮টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি এই কীর্তিমান সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছু সময়ের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ফুল দেন শহীদ বেদিতে।
এ ছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিধনের মর্মন্তুদ স্মৃতিঘেরা দিন। বাঙালীর মেধা-মনন-মনিষা শক্তি হারানোর দিন। মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের পথে দাঁড়িয়ে, ঠিক সেই সময়ই রাতের আঁধারে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে। বাংলাপিডিয়ার তথ্য মতে একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা রকম কর্মসূচি নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কালো ব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি ।