‘নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে’

Slider চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘সব দলকে নির্বাচনে আনার ক্ষেত্রে কমিশন আর কোনো উদ্যোগ নেবে না। কেননা এর আগেও সব দলের সঙ্গে সভা করে তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল।

তবে আমরা আশা করছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সবার অংশগ্রহণে একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ’
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের লাভ লেনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের সব নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। এসময় চট্টগ্রামের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আ ন ম মুনির হোসাইন খানসহ উপজেলার নির্বাচনী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

হেলালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর বাকি কাজ শেষ করা হবে।

তফসিল ঘোষণার পর সিইসিসহ সব কমিশনাররা দেশের প্রতিটি বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করবেন। দেবেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও। প্রতি বিভাগে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে করা হবে সমন্বয় সভাও। এখনো পর্যন্ত নির্বাচনে কোনো ধরণের ঝুঁকি কমিশন দেখছেন না। তবে ঝুঁকি মোকাবেলার সব ধরণের প্রস্তুতি কমিশনের আছে। ’
ইসি সচিবের সঙ্গে চার কমিশনারের মতবিরোধ বিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব এবং বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। ’ ইসি সচিব জানান, সারাদেশে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৯৯টির সবগুলোতে ট্যাব (ট্যাবলেট পিসি) পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরাসরি ফল পাঠানো যায় কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রাইমারি, এমপিওভুক্ত ও সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা কাজ করবেন। তাদের সঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও। যাচাই-বাছাই করেই এদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আ ন ম মুনির হোসাইন খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচন খুব ঝুঁকিপূর্ণ হবে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। কেন্দ্র থেকে ফলাফল যাতে সরাসরি কমিশনে পাঠানো যায় সেই ব্যবস্থাও করতে হবে। ’ সভায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে মিলেমিশে পরিচালনা করার নির্দেশনা দেন হেলালুদ্দিন আহমদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *