সে এতটাই নিরীহ ছিল যে, ৫২ কোটি বছর আগেও তাকে লুকিয়ে বেড়াতে হতো। পৃথিবী তখন অতি আদিম।
চার পাশে হিংস্র প্রাণীদের রাজত্ব। সেখানে এই নখ-দাঁতহীন প্রাণীটিকে বাঁচতে হতো লুকিয়ে। আর প্রাণীটির নরম শরীর ঢেকে রাখার জন্য কোনও খোলসও ছিল না।
এই আশ্চর্য প্রাণীটির সন্ধান পেয়েছেন চিনের ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্সেস’র ভূ-প্রাণীবিদ কিয়াং ওউ এবং জার্মানির কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী গিয়র্গ মায়ার। জানা যাচ্ছে, তাদের গবেষণাপত্রে তারা লিখেছেন, এই প্রাণীটি তিন সেন্টিমিটার মতো দৈর্ঘ্যযুক্ত ছিল। তাছাড়া তার মুখ, চোখ ইত্যাদিও ছিল না।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভসায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্বের অধ্যাপক ডেরেক ব্রিগস এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন। তার মতে, এই সময়ে পৃথিবীতে বাস করত যে সব বহুপদী প্রাণীর কথা জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকেরই দেহ শক্ত খোলসে আবৃত ছিল। কিন্তু এই প্রাণীটি একেবারেই ‘নগ্ন’।
আর সেই কারণেই একে বাঁচতে হতো লুকিয়ে।
এই বিচিত্র প্রাণীটির নাম ‘লেনিসাম্বুল্যাট্রিক্স হামবোল্টি’ দিয়েছেন ওউ এবং মায়ার। এর অর্থ হাঁটতে পারে, এমন নরম দেহ। আর এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার বিখ্যাত প্রকৃতিবিদ ফ্রিডরিখ ভিলহেলম হেইনরিখ আলেকজান্ডার ভন হামবোল্টের নাম। কারণ আলেকজান্ডার ভন হামবোল্ট ফাউন্ডেশন এই গবেষণায় সহায়তা করেছে।