তিন পার্বত্য জেলার ৮২ হাজার উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত

Slider চট্টগ্রাম

তিন পার্বত্য জেলার ৮২ হাজার উদ্বাস্তু পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। এ জন্য রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য জেলার ৮১ হাজার ৭৭৭ উদ্বাস্তু পরিবারের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর সরকারি অর্থায়নে তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে মত দিয়েছে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত ‘ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন’ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স’র ৯ম সভায় এ তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন টাস্কফোর্সের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। একই সভায় ভারত থেকে প্রত্যাগত ২১ হাজার ৯০০ শরণার্থী পরিবারের তালিকাও পুনর্বাসনের জন্য অনুমোদন দিয়েছে টাস্কফোর্স। এছাড়াও উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ‍ঋণ মওকুফ, ফৌজদারী মামলা প্রত্যাহার, প্রত্যাগত শরণার্থীদের চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা প্রদান, রেশন দেওয়া এবং টাস্কফোর্স সদস্যদের সম্মানি ভাতা নিয়ে আলোচনা করেন টাস্কফোর্স সদস্যরা। ‍

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের বিরুদ্ধে ৪৫১টি ফৌজদারী মামলা রয়েছে। তবে ৪৪৬টি মামলা ইতোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলোতে কিছু জটিলতা থাকলেও তা নিরসন করে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

এদিকে ঋণ মওকুফের বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা জানান, উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ‍ঋণ মওকুফ করতে সোনালি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং বিআরডিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

টাস্কফোর্সের ৯ম সভায় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, টাস্কফোর্স সদস্যদের সভা প্রতি সম্মানি ভাতা প্রদান করা হবে, তবে মাসিক সম্মানি ভাতার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। অনুমতি পেলে তাও হবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানিক লাল বণিক, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *