কুমিল্লায় দুলাভাইকে হত্যার অভিযোগে শ্যালক

Slider বাংলার আদালত

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের প্রবাসী মো.ইয়াকুব আলীকে হত্যার ঘটনার দীর্ঘ দেড় বছর পর তার শ্যালক জানে আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যরা। জানে আলম উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক।

সে উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন।
সূত্র জানায়, নিখোঁজের ৭দিন পর ২০১৭ সালের ২ মার্চ উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে ঝলম-ডুমুরিয়া গ্রামের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী থেকে ওমান প্রবাসী ইয়াকুব আলীর (৫০) অর্ধগলিত বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ইয়াকুব আলী উপজেলার উত্তর হাওলা গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত.আবদুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের ছেলে মো. সোহাগ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে আসার পর থেকে বাদী পক্ষের লোকদের কাছ থেকে তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কুমিল্লা জেলা পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ওসমান গনির নির্দেশে পরিদর্শক মো.ইখতিয়ার উদ্দিন তদন্ত শুরু করেন। গত সোমবার বিকেলে মনোহরগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ইয়াকুব আলীর শ্যালক জানে আলমকে আটক পিবিআইয়ের সদস্যরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার পরিদর্শক মো.ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারি প্রবাসী ইয়াকুব আলীর উপার্জিত অর্থ জানে আলমের কাছে ছিল।

জানে আলম তার টাকা আত্মসাত করতে চেয়েছিলো। এনিয়ে শ্যালত-দুলা ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই টাকার জন্যই জানে আলম প্রবাসী ইয়াকুবকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য বস্তাবন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়। তিনি জানান, এই হত্যার ব্যাপার আরো বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে জানে আলমের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *